স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যারাই দায়ী, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রচলিত যে আইন আছে, সে অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চালক বা পরিবহনকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান কোনো প্রভাব খাটাতে পারবেন না।

বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর বাস তুলে দেওয়ার ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমেরপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায় মিমের বাসায় যান মন্ত্রী। সেখানে গিয়ে তিনি মিমের বাবা, মা ও ভাইবোনকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় সেখানে মিমের কলেজের কয়েকজন বান্ধবী উপস্থিত ছিল।

মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে দিয়ার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মন্ত্রীর সান্ত্বনার জবাবে দিয়ার মা, বাবা, ভাইবোনেরা শুধুই অপরাধীদের শাস্তি চেয়েছেন। কান্না জড়ানো কণ্ঠে তাঁরা বলেন, মিমকে তো আর পাওয়া যাবে না। যদি অপরাধীদের শাস্তি হয়, তাহলে অন্তত সান্ত্বনাটা পাওয়া যাবে।

সেখানে থাকা দিয়ার বান্ধবীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিমানবন্দর সড়কের এমইএস বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ফুটওভারব্রিজ করার দাবি জানায়। তারা বাসে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া এবং দোষী ব্যক্তিদের ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবি জানায়।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জাবালে নূর বাসে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাসটির রুট পারমিট ও চালকের লাইসেন্স ছিল কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তারা হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠিয়ে দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ওপর বাস উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় হতাহত হওয়ার প্রতিবাদে তিন দিন সড়ক অরবোধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, কাঁটাবন, মতিঝিলসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here