রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

নৌপরিবহন মন্ত্রী আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মোংলা বন্দরের কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মোবাইল হারবার ক্রেন কেনা সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, যে যতটুকু অপরাধ করবে সে সেভাবে শাস্তি পাবে। যে শাস্তি হবে সেই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতার কোনো সুযোগ এখানে নেই।’

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তারা হলো দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিম।

ক্রেন কেনা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, মোংলা বন্দরের মালামাল দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডলিং এর সুবিধার জন্য মোংলা বন্দরে ১৪ সারি বিশিষ্ট কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ হতে কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এর লক্ষ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি মোবাইল হারবার ক্রেন সংগ্রহ করতে যাচ্ছে।

চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। এ সময়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।

শাজাহান খান বলেন, মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পর এ ধরনের একটি ক্রেন সংগ্রহ করা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে আমরা সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি ভবিষ্যতেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

নৌমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে মোংলা বন্দরের লোকসান কাটিয়ে লাভের ধারায় ফিরে এসেছে। ২০০১-২০০৬ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে মোংলা বন্দর লোকসান করেছিল সাড়ে ১১ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মোংলা বন্দর লাভ করেছে ৯৫ কোটি টাকা।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রাধিকার ও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৪টি উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে এবং ৬টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here