ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতি বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি: দুদক চেয়ারম্যান

Reporter Name

ঢাকাঃ

রাজধানীসহ সব মেট্রোপলিটন শহরের পরিবেশ দূষণ  (যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ) প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি, অবহেলা, হয়রানি নিরসনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সোমবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে কমিশনের প্রতিরোধ অণুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমেই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভা করবে দুদক।

আলোচনার মাধ্যমে অংশীজনদের মতামতের আলোকে এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ, দমন এবং নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় দদুক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিবেশ দূষণে নিয়োজিত সংস্থাসমূহের কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে দেশের মানুষ, বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। খাদ্য দূষণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, নগর পরিচ্ছন্নতা,  পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের সমন্বিত নেতিবাচক ফলাফল হচ্ছে এই স্বাস্থ্যঝুঁকি।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ দূষণরোধ করা যাদের দায়িত্ব, তাদের মধ্যে কতিপয় কর্মচারীর কারণে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে বলে কমিশনে অভিযোগ এসেছে। আমরা সেসব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেব।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়কে যেমন নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে; তেমনি বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণেও ভূমিকা রাখছে। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা কঠিন।

তাই সকলের সহযোগিতা নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করবে। প্রয়োজনে এসব কার্যক্রম কমিশনের গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:১১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯
৪০৮ Time View

দুর্নীতি বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি: দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৫:১১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

ঢাকাঃ

রাজধানীসহ সব মেট্রোপলিটন শহরের পরিবেশ দূষণ  (যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ) প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি, অবহেলা, হয়রানি নিরসনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

সোমবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে কমিশনের প্রতিরোধ অণুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমেই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভা করবে দুদক।

আলোচনার মাধ্যমে অংশীজনদের মতামতের আলোকে এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ, দমন এবং নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় দদুক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিবেশ দূষণে নিয়োজিত সংস্থাসমূহের কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে দেশের মানুষ, বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। খাদ্য দূষণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, নগর পরিচ্ছন্নতা,  পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের সমন্বিত নেতিবাচক ফলাফল হচ্ছে এই স্বাস্থ্যঝুঁকি।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ দূষণরোধ করা যাদের দায়িত্ব, তাদের মধ্যে কতিপয় কর্মচারীর কারণে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে বলে কমিশনে অভিযোগ এসেছে। আমরা সেসব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেব।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়কে যেমন নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে; তেমনি বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণেও ভূমিকা রাখছে। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা কঠিন।

তাই সকলের সহযোগিতা নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করবে। প্রয়োজনে এসব কার্যক্রম কমিশনের গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হবে বলেও জানান তিনি।