ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা: চালকের সহকারী গ্রেপ্তার

Reporter Name

নাটোরের লালপুরের বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলায় বাসচালকের সহকারী আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া শহরের পলাশবাড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোনাতন চক্রবর্ত্তী বলেন, আবদুস সামাদকে নাটোর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে রোববার সকালে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় লালপুর থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়। বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউছুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেল চারটার দিকে নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ক্লিক মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটি পড়ে যায় সড়কের পাশে খাদে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় লেগুনার ১০ যাত্রী। বাসটি পাবনা থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেগুনার অপর ৪ যাত্রী ও বাসের ৮ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে যোগ দেন বনপাড়া হাইওয়ে থানা, লালপুর থানা, নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত ব্যক্তিদের বড়াইগ্রামের বনপাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেগুনার আরও ৪ যাত্রী মারা যান। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মীরকামারি গ্রামের সালামত আলীর মেয়ে সুমাইয়া (১১ মাস) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।

লেগুনার বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী নুরসেদ সর্দার (৭২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বলেছিলেন, লেগুনাটি বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাসের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি ছাড়ার পর থেকেই চালক এলোমেলো চালাচ্ছিলেন। চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহূর্তে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় তিনি স্ত্রী লজেলাকে হারিয়েছেন।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার এএআই ইউছুব আলী লালপুর থানায় এফআইআর করেন। মামলায় বনপাড়া লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, লেগুনার চালক, চালকের সহকারী, চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আর চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে অজ্ঞাত দেখানো হয়।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৯:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮
৯৫০ Time View

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা: চালকের সহকারী গ্রেপ্তার

Update Time : ০৯:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮

নাটোরের লালপুরের বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হওয়া মামলায় বাসচালকের সহকারী আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়া শহরের পলাশবাড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোনাতন চক্রবর্ত্তী বলেন, আবদুস সামাদকে নাটোর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে রোববার সকালে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় লালপুর থানায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়। বনপাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউছুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেল চারটার দিকে নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ক্লিক মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটি পড়ে যায় সড়কের পাশে খাদে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় লেগুনার ১০ যাত্রী। বাসটি পাবনা থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেগুনার অপর ৪ যাত্রী ও বাসের ৮ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে যোগ দেন বনপাড়া হাইওয়ে থানা, লালপুর থানা, নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত ব্যক্তিদের বড়াইগ্রামের বনপাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেগুনার আরও ৪ যাত্রী মারা যান। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মীরকামারি গ্রামের সালামত আলীর মেয়ে সুমাইয়া (১১ মাস) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।

লেগুনার বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী নুরসেদ সর্দার (৭২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বলেছিলেন, লেগুনাটি বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাইপাসের লেগুনা স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি ছাড়ার পর থেকেই চালক এলোমেলো চালাচ্ছিলেন। চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহূর্তে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় তিনি স্ত্রী লজেলাকে হারিয়েছেন।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার এএআই ইউছুব আলী লালপুর থানায় এফআইআর করেন। মামলায় বনপাড়া লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, লেগুনার চালক, চালকের সহকারী, চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্য লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারী দুজনই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আর চ্যালেঞ্জার বাসের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীকে অজ্ঞাত দেখানো হয়।