সবুজদেশ ডেক্সঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে ‘ভোট ডাকাতি’ ও ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিএনপির সাত প্রার্থী এবং গণফোরামের কয়েকজন প্রার্থী।

গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বিএনপির পাঁচজন। তাঁরা হলেন বরিশাল-১ আসনের জহির উদ্দিন স্বপন, গাজীপুর-৪ আসনের শাহ রিয়াজুল হান্নান, মৌলভীবাজারের-৩ আসনের নাসের রহমান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন থেকে আবদুল হাই, ভোলা-২ আসন থেকে মো. হাফিজ ইব্রাহিম। এ ছাড়া গত সোমবার মামলা করেছেন ঝিনাইদহ-৪ থেকে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ এবং টাঙ্গাইল-৭ থেকে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।

আজ বুধবার আরও পাঁচজনের মামলা করার কথা রয়েছে। তাঁরা হলেন মানিকগঞ্জ-২ থেকে মঈনুল ইসলাম খান, নরসিংদী-৫ থেকে আশরাফ উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ- ২ থেকে নজরুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা-৫ থেকে নবী উল্যাহ নবী এবং ঢাকা-২ থেকে ইরফান ইবনে আমান।

এই ১২ জনেরই আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মূলত ঢাকা বিভাগের মামলাগুলো দেখছি। তবে এর বাইরেও কারও কারওটা দেখছি। এই মামলাগুলোয় আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় উল্লেখ করেছি। আমরা ডকুমেন্টেশন কোর্টে দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে নির্বাচনের নামে যা হয়েছে, সেটাকে নির্বাচন বলা যাবে না।’ 

মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, মামলায় ভোটের আগে-পরে হামলা, গায়েবি মামলাসহ ভোটে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যে চিত্র তুলে ধরেছেন, সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।সুনির্দিষ্ট আসনে কী হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে আইনজীবীদের একটি প্যানেল করা হয়েছে। কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীকে বিভাগ ভাগ করে মামলাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিভাগ ও সিলেটের কিছু অংশে রুহুল কুদ্দুস, চট্টগ্রামে মীর মো.নাসিরুদ্দিন, বরিশালে জয়নুল আবদিন, খুলনা ও ফরিদপুরে নিতাই রায়চৌধুরী, ময়মনসিংহে ফজলুর রহমান এবং রংপুরে রাজীব প্রধান।

বিএনপি ও গণফোরাম এবার জোটবদ্ধ হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সংসদ নির্বাচন করে। এ জোটের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রথম মামলাটি করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ আগেই নিজের জন্য মামলা করেছি। প্রথম মামলাটাই আমার। বুধবার আরও মামলা হবে। মোস্তফা মহসীন মন্টুর বুধবার করবেন।’ তিনি ছাড়াও গণফোরামের মফিজুল ইসলাম খান কামাল মামলা করেছেন বলে জানান সুব্রত চৌধুরী। এ ছাড়া তিনি জানান, বিএনপির আরও দুই প্রার্থীর মামলার আইনজীবী হয়ে লড়বেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া নির্বাচনের তিন দিন পর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ঢাকায় বিএনপির গুলশান অফিসে ডেকে নির্বাচন নিয়ে তাঁদের বিস্তারিত অভিজ্ঞতা শোনা হয়। সেখানেই প্রার্থীরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেও মামলার কথা জানানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here