পদ পাওয়ার পর প্রথম কর্মসূচিতেই সিনিয়ররা দাঁড়িয়ে তাদের অপেক্ষায়
ঢাকাঃ
দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দান কর্মসূচিতে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেননি ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল তাদের। কিন্ত নির্দিষ্ট সময় না আসায় তা শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে।
ফলে নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদকের ইকবাল হোসেন শ্যামলের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
এই নিয়ে সংগঠনের নেতাদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ বলতে শুরু করলেন, শোভন ও রাব্বানীর পথেই হাঁটলেন ছাত্রদলের নবনির্বাচিতরা।
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারি দলের উচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা এখন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, তারই কিছু প্রমাণ গত কয়েকদিন যাবৎ দেখছেন। যুবলীগ- ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তারা সবখানেই ভয়াবহ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দেশের জন্য জনগণের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জিয়াউর রহমান দেশে ক্যাসিনো চালু করেছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, তারা এই সমস্ত কথা বলে নিজেদের দোষ-ত্রুটি এড়িয়ে যেতে চায়। এমন না যে তারা কেউ জড়িত নেই, সবাই জড়িত আছে। এখন তো কেঁচো খুঁড়ে সাপ বের হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং কারো থেকে নিস্তার নেই। জনগণের রোষের কাছ থেকে কেউ নিস্তার পাবে না। আজকের পত্রিকা থেকে প্রমাণ হয়ে গেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু দুর্নীতি নয় দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সকল কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে এই দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ছাত্রদলের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আমাদের তরুণ দুইজন মেধাবী ছাত্র নেতা নির্বাচিত হয়েছেন এবং ছাত্রদলের এই নেতৃত্ব দেশনেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনের নেতৃত্বে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা সবাই বিশ্বাস করি। বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনসহ দেশের মানুষের তাদের প্রতি দোয়া আছে এবং তাদের প্রতি সবার সেই বিশ্বাস আছে যে তারাই আন্দোলন সফল করবে।
তিনি আরো বলেন, নতুন নেতৃত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না এই ছিল আজকে তাদের শপথ।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজীব হাসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল আহাসান এবং ছাত্রদলের কয়েক শ নেতাকর্মী।