পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের সময় চা-ওয়ালা বলে বেশ প্রচার পেয়েছিলেন গুল জাফর খান। অর্থকড়ি নেই, এ জন্য মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চা-ওয়ালা ছিলেন, এ প্রচারেও বেশ সুবিধাও পান তিনি। নির্বাচনের বৈতরণিও পার হয়ে যান সহজেই। কিন্তু ভোট শেষ হতেই বেরিয়ে পড়ল আসল চেহারা। এখন দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সেই চা-ওয়ালা আসলেই কোটিপতি। তার সম্পদের মধ্যে আছে, কৃষিজমি, নগদ অর্থ ও সোনা।

জিয়ো নিউজ ও দ্য নিউজের খবরে বলা হয়, গুল জাফর খান পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বাজাউর-২ আসন থেকে পিটিআইয়ের সাংসদ নির্বাচিত হন। নির্বাচন শেষে গুল জাফর খানের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে গেল। চা-ওয়ালা পার্লামেন্ট সদস্য রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি। তবে দলের সাংসদের এমন গল্পে একটু বিপাকেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খান।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গুল জাফরের সম্পদের মূল্য ৩ কোটি পাকিস্তানি রুপি। অর্থাৎ চা-ওয়ালা নন, গুল জাফর একজন কোটিপতি। গুল জাফর খানের ১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। বাড়ি আছে ২টি। বাড়ি দুটির বাজারমূল্য ২০ লাখ রুপি। এসব বাড়িতে থাকা গৃহস্থালি পণ্যের মূল্য ২০ লাখ রুপি। তার কৃষিজমিও আছে, যার বাজারমূল্য জানা যায়নি। গত এক বছরে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার রুপির। তাঁর কাছে ১০ তোলা সোনা আছে। এ ছাড়াও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ২০ লাখ রুপি।

ইমরানের দলে জায়গা পাওয়ার আগে রাওয়ালপিন্ডির এক হোটেলে চা বানাতেন বলে দাবি করেছেন গুল জাফর। সেই ছবি প্রকাশও করা হয়েছে। তবে চা-ওয়ালার কীভাবে এত সম্পদ থাকতে পারে, তা নিয়ে এখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশটিতে। কয়েক দিন পর শপথ নিতে যাওয়া ইমরানের দল পিটিআই এখন সমালোচনার মুখে পড়েছে।

এর আগে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। গুল জাফর খান জানিয়েছেন, চা তৈরি তাঁর পেশা। তবে সাংসদ হিসেবে তাঁর প্রধান কাজ হবে এলাকায় শিক্ষার প্রসার ঘটানো।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here