ঢাকা:

পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বর্তমানে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশের শীর্ষ পদে তিনি বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুকে আইজিপি করার প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি খসড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদের মেয়াদ এই মাসেই শেষ হচ্ছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ প্রধান পদে বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ চুক্তিতে বাড়ানো হবে না কি নতুন কেউ আসছেন তা নিয়ে কয়েক মাস ধরে পুলিশের ভেতরে–বাইরে গুঞ্জন চলছিল। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ প্রধান করা হলো।

৩১তম আইজিপি হওয়ার দৌড়ে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশিদ হোসেনের নামও ছিল জোর আলোচনায়। শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালকেই পরবর্তী পুলিশ প্রধান করল সরকার।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সামনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইমেজ পরিষ্কার এবং বাহিনীতে সুনাম রয়েছে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের। তাই তাকে আইজিপির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শ্রীহেলা গ্রামের মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইলে।

১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।

কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদর দফতর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) এবং ঢাকা সদর দফতরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন। অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here