সবুজদেশ ডেক্সঃ গ্রেপ্তার হওয়া দুজন নেতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা বহরের সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আজ ও আগামীকাল তিনি বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করতে ঠাকুরগাঁও এসেছেন।

মির্জা ফখরুলের বহরের ভাঙচুর হওয়া গাড়ি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মো.আক্কাস আলী ও ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো.আখতার হোসেন গ্রেপ্তার হন। মির্জা ফখরুল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ করার আগে ওই দুই নেতার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাঁদের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে সদর উপজেলার দানারহাট এলাকায় পৌঁছালে অতর্কিতে তাঁর গাড়িবহরে একদল যুবক ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে।

ফখরুলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. ইউনুসের ভাষ্য, হামলাকারীরা বহরের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে বিএনপি মহাসচিবের গাড়ি অক্ষত রয়েছে। তিনিও (মির্জা ফখরুল) অক্ষত আছেন। এ ঘটনায় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুলের বহরের ভাঙচুর হওয়া গাড়ি।

মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরের সঙ্গে ছিলেন, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মো.শরিফুল ইসলাম। তাঁর ভাষ্য, মির্জা ফখরুলের বহরে ১০টির মতো গাড়ি ছিল। দানারহাট এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় মহাসচিবের গাড়িবহরের পেছন দিক থেকে হামলা চালানো হয়। ঘটনায় বিএনপির নয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।

মির্জা ফখরুলের বহরের ভাঙচুর হওয়া গাড়ি।

সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বনি আমিন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকায় সস্তা সেন্টিমেন্ট নিতে বিএনপির লোকজনই এই হামলা চালিয়ে আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সে সময় মির্জা ফখরুল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেন। পরে ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের জানান,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হামলার পর মির্জা ফখরুল সেখান থেকে নির্বাচনী পথসভা ও প্রচারে অংশ নিতে গড়েয়াহাট এলাকায় যান। সেখানে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। সরকার দলীয় লোকজন বুঝতে পেরেছে যে, তাঁরা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। সে কারণে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে তিনি পরামর্শ দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here