ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে শনিবার (১২ জানুয়ারী) যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা, কালীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক নবচিত্র পত্রিকাসহ কতিপয় কিছু অনলাইন পত্রিকা এবং বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে ঝিনাইদহে রোগীর পেট থেকে ২৮ দিন পর কাপড়ের টুকরা উদ্ধার শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ জান্নাছি।
আমি মোঃ ইকরামুল ইসলাম, কালীগঞ্জ ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালটি সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলাসহ কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার সাধারন গরীর মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। প্রত্যান্ত এই অঞ্চলের মানুষেরা যাতে স্বল্পমূল্যে সেবা নিতে পারে সে লক্ষ্যেই আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সেবা প্রদান করে আসছি। আমি এবং আমার হাসপাতালটির দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম নষ্ট করতে একটি অসাধু মহল অপপ্রচারে নেমেছে। প্রকৃত ঘটনার সাথে প্রকাশিত ঘটনার কোন মিল নেই বলে আমি দাবি করছি। একটি মহল আমার ব্যবসায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সাংবাদিকদের নিকট ভূল তথ্য দিয়ে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে লিপ্ত রয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা জনৈক রোগী চামেলী বেগমের (২৫) নামে রোগীর পেটে মফ রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করছি।
আমার প্রতিষ্ঠানটি সরকার অনুমোদিত একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। আমি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও অভিজ্ঞ সেবিকাদ্বারা পরিচালনা করে আসছি। কাজেই আমার প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটাডাঙ্গা গ্রামের মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ চামেলী বেগম (২৫) নামীয় প্রসূতির সিজার নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূ, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং যড়যন্ত্রমূলক। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ ইকরামুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
কালীগঞ্জ ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতাল, ঝিনাইদহ।