ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আগে-পরে যা করবেন

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

দীর্ঘদিন ধরেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন আপনি। এই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার পরিচিতজন তো বটেই, অপরিচিত অনেকের সঙ্গেও আপনার ভালো যোগাযোগ ও সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

কিন্তু জানেন কী, আপনার অসতর্কতার কারণে অ্যাকাউন্টটি আপনার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে? হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্ট তার দখলে নিয়ে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে, আপনার সম্মান নষ্ট করতে পারে। এর ফলে আপনার সামাজিক মর্যাদা তো বটেই, ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনেও মারাত্মক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে।

এ সব কিছুই হতে পারে আপনার একটু বেখেয়াল ও আলসেমির কারণে। আপনার অ্যাকাউন্টটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরাপত্তার দেয়ালে বন্দি না থাকার কারণে।

তাহলে কীভাবে আপনি নিজেকে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন?

প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে (মেসেঞ্জারে) এমন কোনো তথ্য অন্য কারও কাছে শেয়ার করবেন না, যেটা আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা কর্মজীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ, অন্তর্জাল দুনিয়ায় আসলে নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। সাময়িক রক্ষাকবচ আছে মাত্র। এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেও রিকভার হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি কিছুটা নির্ভার থাকতে পারবেন।

এরপরও নিরাপত্তার খাতিরে যে রক্ষাকবচ আপনি ব্যবহার করবেন তা হল :

* অ্যাকাউন্ট ই-মেইল দিয়ে খোলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে জি-মেইল হলে ভালো হয়। ইয়াহু মেইল হ্যাক হওয়ার আশংকা থেকে যায়। যে মেইল দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই ই-মেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করুন। কারণ হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট রিকভার করতে গেলে এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টটি দরকার হবে।

* আপনার নিয়মিত ব্যবহৃত ই-মেইল এড্রেস দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না খোলাটাই শ্রেয়। এতে করে হ্যাকার আপনার ই-মেইল এড্রেস খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। যদি নিয়মিত ব্যবহৃত ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে সেটা পরিবর্তন করে এখনই নতুন একটি ই-মেইল সেট করুন।

* ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যা, বর্ণমালা এবং যতিচিহ্ন- সবই ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড সর্বনিম্ন ১২ ডিজিট দিন।

* অ্যাকাউন্টের টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন অন করুন। সেখানে আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার ব্যবহার করুন। যদি সম্ভব হয় এমন একটি ফোন নাম্বার ব্যবহার করুন, যার সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন।

* ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট অপশনটি ব্যবহার করুন। যেখানে আপনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য ৩ থেকে ৫ জন বন্ধুকে অ্যাড করুন। এর ফলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে তাদের মাধ্যমে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে।

* আনরিকগনাইজ লগইন অপশনের নোটিফিকেশন, ম্যাসেঞ্জার ও ই-মেইল তিনটি অপশনই অন করে রাখুন। যাতে করে আপনার অ্যাকাউন্টে কেউ যদি অনুমতি ছাড়া ঢুকে পড়ে তাহলে আপনি তাৎক্ষণিক বার্তা পাবেন।

* কোড জেনারেট অন করুন। যাতে নির্দিষ্ট ডিভাইসের বাইরে অন্য কোথাও লগইন করতে গেলে সেটার প্রয়োজন হয়। এবং এটি শুধু লগডইন ডিভাইস থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

* আপনার অ্যাকাউন্টের লিংক এড্রেস বার থেকে কপি করে অন্য কোথাও সংরক্ষণ করে রাখুন। তাহলে হ্যাক করার পর অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করলেও রিকভার করার ক্ষেত্রে সেটার প্রয়োজন হবে।

* অ্যাকাউন্টের নাম এবং বানান আপনার পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে রাখুন। যদি কোনো মিডিয়া নাম থাকে তাহলে মূল নামটি দ্বিতীয় অপশনে রাখতে পারেন। যেটা আপনার মিডিয়া নামের নিচেই কিংবা পাশে ব্র্যাকেটে দেখা যাবে।

* জন্মতারিখ পরিচয়পত্র অনুযায়ী সেট করুন।

এ তো গেল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দেয়া নিরাপত্তার কথা। এরপর আপনি যা করবেন:

* প্রতিদিন অ্যাক্টিভিটি লগ চেক করুন। আপনার অগোচরে কোনো কিছু হচ্ছে কী না সেটা টের পাবেন।

* যদি সম্ভব হয় বিশেষজ্ঞ কাউকে দিয়ে অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। মনে রাখবেন শুধু ব্লু-ব্যাজ ভেরিফিকেশনই একমাত্র ভেরিফিকেশন নয়। এটা শুধু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণ যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করিয়ে নিতে পারবেন। এই পরিচয়পত্র কী এবং কয় ধরনের পরিচয়পত্র ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবেন সেটার তালিকাও দেয়া আছে। এটাও অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকার একটি উপায়।

* যদি আপনার অ্যাকাউন্টটির কোনো ধরনের নিরাপত্তা দেয়া না থাকে তাহলে এখনই কোনো বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সেটা যাচাই করে নিন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

* কিছুদিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

মনে রাখবেন, যেসব ব্লু-ব্যাজ ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, সেগুলো ব্যবহারকারীর অসতর্কতার কারণেই হয়। কারণ যে ডিভাইস দিয়ে তিনি ফেসবুক ব্যবহার করছেন সেই ডিভাইসটি যদি হ্যাক হয়, কিংবা একই ডিভাইসে ইন্টারনেটে অন্যান্য অ্যাপসও ব্যবহার করেন, যে সব অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ম্যাসেজ ইনবক্স, কন্ট্যাক্টসহ আরও অনেক কিছুর পারমিশন দিয়ে রাখেন, মেসেঞ্জারে আসা জানা-অজানা বিভিন্ন লিংক চেক করেন, তাহলে তিনি কোনোভাবেই ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপদ নন। যতই তিনি ভেরিফাইড ব্যক্তি হোন না কেন।

এরপরও যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে যদি রিকভার করার ইচ্ছে থাকে তাহলে যে ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেই ই-মেইল এড্রেসটি দিয়ে নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে নতুন ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করুন।

** এতসব ঝ‌ক্কি-ঝামেলা পোহাতে না চাইলে ফেসবুক ব্যবহার করা বাদ দিন। কিংবা ব্যবহার করবেন, বুঝতে পারছেন না কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন, তাহলে যোগাযোগ করুন। নিরাপত্তাবিষয়ক সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিয়ে থা‌কি। হ্যাকড আইডি রিকভারের ক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯
৩৫৬ Time View

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আগে-পরে যা করবেন

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

দীর্ঘদিন ধরেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন আপনি। এই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার পরিচিতজন তো বটেই, অপরিচিত অনেকের সঙ্গেও আপনার ভালো যোগাযোগ ও সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

কিন্তু জানেন কী, আপনার অসতর্কতার কারণে অ্যাকাউন্টটি আপনার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে? হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্ট তার দখলে নিয়ে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে, আপনার সম্মান নষ্ট করতে পারে। এর ফলে আপনার সামাজিক মর্যাদা তো বটেই, ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনেও মারাত্মক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে।

এ সব কিছুই হতে পারে আপনার একটু বেখেয়াল ও আলসেমির কারণে। আপনার অ্যাকাউন্টটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরাপত্তার দেয়ালে বন্দি না থাকার কারণে।

তাহলে কীভাবে আপনি নিজেকে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন?

প্রথম কথা হচ্ছে, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে (মেসেঞ্জারে) এমন কোনো তথ্য অন্য কারও কাছে শেয়ার করবেন না, যেটা আপনার ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা কর্মজীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ, অন্তর্জাল দুনিয়ায় আসলে নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। সাময়িক রক্ষাকবচ আছে মাত্র। এ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেও রিকভার হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি কিছুটা নির্ভার থাকতে পারবেন।

এরপরও নিরাপত্তার খাতিরে যে রক্ষাকবচ আপনি ব্যবহার করবেন তা হল :

* অ্যাকাউন্ট ই-মেইল দিয়ে খোলার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে জি-মেইল হলে ভালো হয়। ইয়াহু মেইল হ্যাক হওয়ার আশংকা থেকে যায়। যে মেইল দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই ই-মেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করুন। এ ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করুন। কারণ হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট রিকভার করতে গেলে এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টটি দরকার হবে।

* আপনার নিয়মিত ব্যবহৃত ই-মেইল এড্রেস দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না খোলাটাই শ্রেয়। এতে করে হ্যাকার আপনার ই-মেইল এড্রেস খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন। যদি নিয়মিত ব্যবহৃত ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে সেটা পরিবর্তন করে এখনই নতুন একটি ই-মেইল সেট করুন।

* ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যা, বর্ণমালা এবং যতিচিহ্ন- সবই ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড সর্বনিম্ন ১২ ডিজিট দিন।

* অ্যাকাউন্টের টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন অন করুন। সেখানে আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বার ব্যবহার করুন। যদি সম্ভব হয় এমন একটি ফোন নাম্বার ব্যবহার করুন, যার সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন।

* ট্রাস্টেড কনট্যাক্ট অপশনটি ব্যবহার করুন। যেখানে আপনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য ৩ থেকে ৫ জন বন্ধুকে অ্যাড করুন। এর ফলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে তাদের মাধ্যমে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে।

* আনরিকগনাইজ লগইন অপশনের নোটিফিকেশন, ম্যাসেঞ্জার ও ই-মেইল তিনটি অপশনই অন করে রাখুন। যাতে করে আপনার অ্যাকাউন্টে কেউ যদি অনুমতি ছাড়া ঢুকে পড়ে তাহলে আপনি তাৎক্ষণিক বার্তা পাবেন।

* কোড জেনারেট অন করুন। যাতে নির্দিষ্ট ডিভাইসের বাইরে অন্য কোথাও লগইন করতে গেলে সেটার প্রয়োজন হয়। এবং এটি শুধু লগডইন ডিভাইস থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

* আপনার অ্যাকাউন্টের লিংক এড্রেস বার থেকে কপি করে অন্য কোথাও সংরক্ষণ করে রাখুন। তাহলে হ্যাক করার পর অ্যাকাউন্ট ডিজেবল করলেও রিকভার করার ক্ষেত্রে সেটার প্রয়োজন হবে।

* অ্যাকাউন্টের নাম এবং বানান আপনার পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে রাখুন। যদি কোনো মিডিয়া নাম থাকে তাহলে মূল নামটি দ্বিতীয় অপশনে রাখতে পারেন। যেটা আপনার মিডিয়া নামের নিচেই কিংবা পাশে ব্র্যাকেটে দেখা যাবে।

* জন্মতারিখ পরিচয়পত্র অনুযায়ী সেট করুন।

এ তো গেল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দেয়া নিরাপত্তার কথা। এরপর আপনি যা করবেন:

* প্রতিদিন অ্যাক্টিভিটি লগ চেক করুন। আপনার অগোচরে কোনো কিছু হচ্ছে কী না সেটা টের পাবেন।

* যদি সম্ভব হয় বিশেষজ্ঞ কাউকে দিয়ে অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। মনে রাখবেন শুধু ব্লু-ব্যাজ ভেরিফিকেশনই একমাত্র ভেরিফিকেশন নয়। এটা শুধু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য। সাধারণ যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করিয়ে নিতে পারবেন। এই পরিচয়পত্র কী এবং কয় ধরনের পরিচয়পত্র ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবেন সেটার তালিকাও দেয়া আছে। এটাও অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকার একটি উপায়।

* যদি আপনার অ্যাকাউন্টটির কোনো ধরনের নিরাপত্তা দেয়া না থাকে তাহলে এখনই কোনো বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সেটা যাচাই করে নিন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

* কিছুদিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

মনে রাখবেন, যেসব ব্লু-ব্যাজ ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, সেগুলো ব্যবহারকারীর অসতর্কতার কারণেই হয়। কারণ যে ডিভাইস দিয়ে তিনি ফেসবুক ব্যবহার করছেন সেই ডিভাইসটি যদি হ্যাক হয়, কিংবা একই ডিভাইসে ইন্টারনেটে অন্যান্য অ্যাপসও ব্যবহার করেন, যে সব অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ম্যাসেজ ইনবক্স, কন্ট্যাক্টসহ আরও অনেক কিছুর পারমিশন দিয়ে রাখেন, মেসেঞ্জারে আসা জানা-অজানা বিভিন্ন লিংক চেক করেন, তাহলে তিনি কোনোভাবেই ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপদ নন। যতই তিনি ভেরিফাইড ব্যক্তি হোন না কেন।

এরপরও যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে যদি রিকভার করার ইচ্ছে থাকে তাহলে যে ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেই ই-মেইল এড্রেসটি দিয়ে নতুন কোনো অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে নতুন ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করুন।

** এতসব ঝ‌ক্কি-ঝামেলা পোহাতে না চাইলে ফেসবুক ব্যবহার করা বাদ দিন। কিংবা ব্যবহার করবেন, বুঝতে পারছেন না কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন, তাহলে যোগাযোগ করুন। নিরাপত্তাবিষয়ক সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিয়ে থা‌কি। হ্যাকড আইডি রিকভারের ক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য।