ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা- কাদের
ঢাকাঃ
ছাত্রলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আইনগত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্রিমিনাল অফেন্স থেকে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপির নামে দুদকে মামলা হয়েছে। তারা দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরাও দিয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার কোনও অনিয়মের তোয়াক্কা করে না। অনিয়ম-দুর্নীতি কেউ করে থাকলে কোনও ছাড় নয়।’
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের বিষয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর নেতা নির্বাচন করা হয়েছিল। নেত্রীর নির্দেশে আমি তাদের নাম ঘোষণা করেছিলাম। তাদের ক্যারিয়ার, রেজাল্ট সবই ভালো ছিল। তারপরও এমন ঘটনায় নেত্রী অনেক মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। এটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অনেক সমস্যা থাকে। কিছু আগাছা, পরগাছা, সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারী দলের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা অনেক সময় এদের কারণে ম্লান হয়ে যায়।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্লিন ইমেজ দেশ-বিদেশে সমাদৃত। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে যা প্রয়োজন তিনি তাই করছেন। যুবলীগের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। যেহেতু যুবলীগ নিজেরাই নিজেদের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে, দেখি সেখানে কী হয়। নিজেরাই যদি নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে, সেটি ভালো।’
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিষয়ে তদন্ত করা ক্ষমতার অপব্যবহার কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি ও সরকারের কাজকর্মে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করাই গোয়েন্দা সংস্থার কাজ। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মানহানির কাজ করি, তাহলে গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে ক্ষতি কী? আপন ঘরে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিজেরাই যদি সংশোধিত হই তাহলে ভালো।’