কক্সবাজারের টেকনাফে আজ শুক্রবার ভোররাতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব-৭) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আজিজুর রহমান আজাদ (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‍্যাবের ভাষ্য, নিহত আজাদ ঢাকার সাভারের হেমায়তপুরের শ্যামনগর এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, ভোররাতে টেকনাফ পৌরসভার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ও উপজেলা পরিষদসংলগ্ন টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাবের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬৮ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি আগুনে পোড়া মাইক্রোবাস, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলির খোসা ও তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালানটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

র‍্যাব-৭-এর টেকনাফ-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর মোহাম্মদ মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মেহেদী হাসান বলেন, টেকনাফ শহর থেকে একটি মাইক্রোবাস ৫-৬ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় র‍্যাবের একটি দল টেকনাফ পৌরসভার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ও উপজেলা পরিষদসংলগ্ন টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় মাইক্রোবাসটি র‍্যাবের তল্লাশিচৌকি দেখে পালানোর চেষ্টা চালালে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। সংকেত অমান্য করে মাইক্রোবাস চলতে থাকে এবং চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গাড়িতে থাকা কয়েক জন পালিয়ে যায়। গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। গাড়ির ভেতর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আজিজুর রহমান নামের একজনকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় র‍্যাবের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here