সবুজদেম ডেক্সঃ কক্সবাজারে টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আশিক জাহাঙ্গীর কুদরত (৩২) ও মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩০) নামের দুই সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে কেরুনতলী এলাকায় টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কে‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ টেকনাফ ক্যাম্প-১-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আশিকের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি এলাকায়। আশিক ট্রাকচালক। আরিফের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের তাল্লার বড় মসজিদ এলাকায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি, দুটি অস্ত্র, আটটি গুলি ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। র্যাবের ধারণা, ওই ট্রাকে করে টেকনাফ স্থলবন্দর বা টেকনাফের যেকোনো জায়গায় মালামাল আনা হয়েছিল। পরে টেকনাফ থেকে যাওয়ার সময় তারা ইয়াবার বড় চালান নিয়ে যাচ্ছিলেন।
মির্জা শাহেদ মাহতাব প্রথম আলোকে বলেন, টেকনাফ থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে একটি ট্রাক কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। এরই সূত্র ধরে র্যাবের একটি দল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায়। এ সময় ট্রাকটি চেকপোস্ট এলাকায় পৌঁছালে র্যাবের সদস্যা থামানোর সংকেত দেয়। সংকেত অমান্য করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান এবং র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ট্রাকে থাকা দু-একজন পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, আরিফের শরীরে ছয়টি ও আশিকের শরীরে সাতটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজারের সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ৪ মে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় টেকনাফে ১৯ জন সন্দেহভাজন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটল। এর মধ্যে তিনজনের বাড়ি টেকনাফের বাইরে। বাকি ১৬ জন টেকনাফের বাসিন্দা।