বর্গা চাষিই হয়ে গেলেন জমির আসল মালিক!
কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আলম আলী গং এর বিরুদ্ধে বর্গা চাষকৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ধুবইল মৌজার এস,এ খতিয়ান-৭২৬/৪,এস এ দাগ-১২৯৩ এর গোলাপীতলা মাঠের ৯২ শতক ধানী জমির প্রকৃত মালিক মৃত আবেদ আলীকে ১৬বছর পূবে অথাৎ ২৪/০৪/২০০০ সালে মৃত দেখিয়ে ঐ জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার ধুবইলের মৃত আবেদ আলীর পুত্র আয়ুব আলী।
আয়ুব আলী বলেন,আমার বাবা আবেদ আলী চিথলিয়ার ইউনিয়নের এলাকার আলম আলীর বাবা পলান প্রামানিককে বর্গাচাষী হিসাবে জমিটি আবাদ করতে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে বর্গাচাষি হিসাবে জমিটি ফসল লাগিয়ে আবাদ করে আসছিলেন তারা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জমিটি আবাদ করার ফলে জমিটির উপর নজর পড়ে তাদের। ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে রেকর্ট সূত্রে জমিটির মালিকানা দাবি করেন আলম আলী গংরা। এতেই থেমে থাকেননি। আলম আলী আলমগীর সেজে নিজে বাদী হয়ে মামলাও করেছেন আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে। মৃত দেখিয়ে ভুয়া কাগজ সংযুক্তও করেছেন তারা। কিন্তু আমার বাবা আবেদ আলী মৃত্যু বরণ করেন ১৮/০৫/২০১৬ সালে। ধবইল ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদপত্রে তার প্রমানও রয়েছে। তাহলে কিভাবে আমার বাবাকে ১৬বছর পূবে মৃত দেখানো হলো? আর দেশে টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী হয় কোথায়? যা দিয়ে সত্যকে মিথ্যা বানোয়াট ঘটনা বানোনো যায়।
এদিকে আলম আলী বলেন, এটা সত্য আবেদ আলী ২-৩ বছর আগে মারা গেছেন। ওই জমিটা ৮০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের দখলে রয়েছে। আমার বাবা ওই সময় খবির মন্ডলের কাছ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলো জমিটা। আমার বাবার দলিলকৃত সম্পত্তি এটি। আয়ুব আলী যদি বলে বর্গা চাষ করতে দিয়েছিলো ওই জমি তাহলে এটা তার মিথ্যা কথা। মহামান্য হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন মামলা নং ১৫৮৬, সেখানে ১৬বছর পূবে আবেদ আলীকে মৃত দেখানো হয়েছে। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানি না। ঠিক কত সালে সেটাও বলতে পারবো না।
ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়াডের মেম্বার বাবু বলেন, এই জমিটি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছে। আগে ঐ জমিটি আয়ুব আলী গং এর দখলে ছিলো। এখন দেখছি চিথলিয়ার আলম আলী গং এর দখলে। তবে জমিটি নিয়ে মামলা চলছে শুনেছি।
চিথলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পিস্তুল বলেন, এ বিষয়টি আমি শুনেছি। আসলে জমিটির আর এস রেকর্ড যার নামে সেই জমিটির মালিক।