সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘সুন্দর পরিবেশ হলে বর্তমান কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।’

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সমঝোতা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি এক ধরনের কৌশল নেবে। আর না এলে ৩০০ আসনেই মনোনয়ন দেয়ার প্রস্তুতি আছে জাতীয় পার্টির। আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি, আমাদের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায় ইসলাম ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের উদ্দেশ্য ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির একটি জোট আছে, তবে এখনও বলার সময় আসেনি কাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী জোট হবে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন প্রসঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ছাত্ররা খালি হাতে সড়কে জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন সন্তানদের মায়ের কান্না আর ছাত্রদের আর্তনাদ যেন দেখার কেউ নেই। সড়কে দুর্ঘটনায় শিশুরা জীবন দেবে, নিরাপদ সড়কের জন্য কোমলমতি শিশুরা আন্দোলন করবে এজন্য তো দেশ স্বাধীন হয়নি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, মুসলিম বিশ্বকে ধংস করতে পশ্চিমাবিশ্ব ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজ মুসলিম দেশগুলো একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। ইরাক, প্যালেস্টাইন ধংস করে দেয়া হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করছে না। আমাদেরই প্রতিবাদ করতে হবে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলো আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন, আমরা আরও শক্তিশালী হচ্ছি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলো জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, দেশে এখন চরম অরাজকতা, সুশাসনের অভাব সবখানে। এমন সময়ে খেলাফত মজলিস আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এখন আমরা আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে স্বপ্ন দেখছি। আমরাই পারবো পরিবর্তন আনতে। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারই সব অন্যায়-অবিচার বন্ধ করতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মেজর মো. খালেদ আখতার (অব.), শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, নুরুল ইসলাম নুরু, আলমগীর শিকদার লোটন, সরদার শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, শেখ আলমগীর হোসেন, আশরাফ সিদ্দিকী, জহিরুল আলম রুবেল, বিএনএ’র যুগ্ম-মহাসচিব শেখ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here