ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করে চীন : শি

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দেশ বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে বেইজিং।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন শি জিনপিং। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ খবর জানিয়েছে।

শি জিনপিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব রয়েছে। উভয় পক্ষ ২০১৬ সালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারীত্বে উন্নীত করেছে।

বৈঠকে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান চীনা প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ-চীনের মধ্যকার অর্থনৈতিক পরিপূরকতাকে পূর্ণ রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান। অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় পক্ষের প্রতি বৈঠকে আহ্বান জানান চীনা প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান শি জিনপিং। উভয় দেশের সংস্কৃতির পাশাপাশি জনগণের মধ্যে বন্ধন গভীর করারও আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বাংলাদেশ। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। এ ছাড়া ব্রিকসের মতো বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় সহযোগিতা জোরদার করতেও প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিকসের কার্যপদ্ধতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। 

Tag :

About Author Information
Update Time : ০১:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
৮৩ Time View

বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করে চীন : শি

Update Time : ০১:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দেশ বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে বেইজিং।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন শি জিনপিং। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ খবর জানিয়েছে।

শি জিনপিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব রয়েছে। উভয় পক্ষ ২০১৬ সালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারীত্বে উন্নীত করেছে।

বৈঠকে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান চীনা প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ-চীনের মধ্যকার অর্থনৈতিক পরিপূরকতাকে পূর্ণ রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান। অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় পক্ষের প্রতি বৈঠকে আহ্বান জানান চীনা প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান শি জিনপিং। উভয় দেশের সংস্কৃতির পাশাপাশি জনগণের মধ্যে বন্ধন গভীর করারও আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে বাংলাদেশ। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। এ ছাড়া ব্রিকসের মতো বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় সহযোগিতা জোরদার করতেও প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিকসের কার্যপদ্ধতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ।