ঢাকাঃ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ বুয়েট ক্যাম্পাসে এসেছেন। সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন সাবেক বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক কর্মকর্তা।
ক্যাম্পাসে এসে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে বলতে কান্না শুরু করেন।
আবরার হত্যাকাণ্ডে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আটক করা অব্যাহত রয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও করা হয়েছে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। এই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।
প্রসঙ্গত, আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে শের-ই বাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।