ঢাকাঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামী-উস সানির কক্ষসহ দুই হলের তিনটি কক্ষ সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই এ পদক্ষেপ নেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

সিলগালা করা কক্ষগুলোর মধ্যে আহসান উল্লাহ হলের দুটি এবং শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তিনটি রুম সিলগালা করা হয়েছে এবং অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আহসান উল্লাহ হলের ১২১ নম্বর কক্ষ, জামী-উস সানির ৩২১ নম্বর কক্ষ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আবরার হত্যা মামলার আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের ৩০১২ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। এসব কক্ষ রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতো।

অন্যান্য হলের ছাত্রলীগের ব্যবহৃত কক্ষগুলোও আগামীকালের মধ্যে সিলগালা করা হবে বলেও জানান মিজানুর রহমান।

বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবীতে আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা সবশেষ বাস্তবায়নযোগ্য ৫টি দাবী তোলে। এই দাবীগুলো মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা আলাদা ৫টি নোটিশ জারি করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে নিষিদ্ধ করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য আরো জানানো যাচ্ছে যে, অবৈধভাবে যারা আবাসিক হলের সিট দখল করে আছে তাদেরকে অতিসত্বর হলের সিট খালি করা এবং সাংগঠনিক অফিস বন্ধ করে তা সিলগালা করার জন্য ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ব্যবস্থা নেবেন। আগামীকাল ১২ তারিখ থেকে উল্লিখিত কাজগুলো শুরু করা হবে।

ভবিষ্যতে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ আসলে তা ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এই নোটিশ জারির পরেই পদক্ষেপ হিসেবে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সভাপতি ও সম্পাদকসহ তিন ছাত্রের রুম সিলগালা করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here