সবুজদেশ ডেক্সঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৭৮৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ২ হাজার ২৭৯ জন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এই তথ্য পাঠিয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ২৮ নভেম্বর। নির্দিষ্ট সময় শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র আজ রোববার জানায়, দাখিল হওয়া ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৭৮৬টি। আর বৈধ প্রার্থী ২ হাজার ২৭৯টি। ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে ১৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জমা পড়েছিল ২৩টি।

যেসব আসনে ৬ টির বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে:

ঢাকা-১৭ আসনে ২৭টির মধ্যে বাতিল হয়েছে ১১টি । ফরিদপুর-৪ আসনে ১৪টির মধ্যে ১০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৭ টির মধ্যে ১১টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১৬টির মধ্যে ১০টি ও কুমিল্লা-৩ আসনে ২৭ টির মধ্যে ১০টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

এ ছাড়া বগুড়া-৭ আসনে ১৪টির মধ্যে ৭টি, রাজশাহী-১ আসনে ১২টির মধ্যে ৮টি, যশোর-২ আসনে ১৫টির মধ্যে ৭টি, ময়মনসিংহ-৩ আসনে ১৭টির মধ্যে ১০টি, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০টির মধ্যে ৭টি, ঢাকা-৮ আসনে ২২টির মধ্যে ৭টি মনোয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

যে ৩৫টি আসনে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি:

ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, জয়পুরহাট-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-২, নাটোর-৩, পাবনা-২ ও ৪, কুষ্টিয়া-৩, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, ৩, ৪ ও ৫, সাতক্ষীরা-৩, পটুয়াখালী-৪, ভোলা-৩, বরিশাল-৪ ও ৫, পিরোজপুর-২, টাঙ্গাইল-২ ও ৫, জামালপুর-২, নেত্রকোনা-৩, ঢাকা-১২ ও ১৩, নরসিংদী-৪, গোপালগঞ্জ-২, মৌলভীবাজার-৪, কুমিল্লা-৭, চাঁদপুর-৩, ফেনী-২, নোয়াখালী-৫, লক্ষ্মীপুর-৩ ও কক্সবাজার-১।

যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন শুনানি করে আপিল নিষ্পত্তি করবে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর। এ ছাড়া যাঁদের আবেদন বৈধ হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে প্রমাণসহ আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হবে।

৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। আর ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here