ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়: ইমরান খান
সবুজদেশ ডেস্কঃ
ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এখন কোনো লাভ নেই। শান্তি ও সংলাপের যে প্রস্তাব তিনি নয়াদিল্লিকে দিয়েছিলেন, তা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক সালমান মাসুদ ও মারিয়া আবি হাবিবকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেছেন। বুধবার ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। খবর ডন অনলাইনের।
এ ছাড়া কাশ্মীরে মুসলমানদের উচ্ছেদ করে সেখানে নরেন্দ্র মোদি হিন্দু বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইমরান খান বলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো ফল আসবে না। আমি বোঝাচ্ছি- সব ধরনের আলোচনা আমরা শেষ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত যখন আমরা পেছনের দিকে ফিরে তাকাই, সংলাপ ও শান্তির জন্য এ যাবত যত প্রস্তাব দিয়েছি, সবই তারা প্রশমিতকরণ হিসেবে নিয়েছে। কাজেই ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার দিকে তিনি আর এগোবেন না বলে জানান।
ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে দেয়া এই সাক্ষাৎকারের সময় ইমরান খান বলেন, এ ইস্যুতে আমাদের আর করার কিছু নেই।
ভারতীয় সরকার অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
সাবেক এ কিংবদন্তি ক্রিকেট তারকা বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- সেখানকার ৮০ লাখ লোকের জীবন আজ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। সেখানে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা সংঘটিত হতে যাচ্ছে বলে আমরা উদ্বিগ্ন।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একজন ফ্যাসিস্ট ও হিন্দু শ্রেষ্ঠত্বাবাদী আখ্যায়িত করে ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরের অধিকাংশ মুসলমানকে উচ্ছেদ করে সেখানে হিন্দুদের বসতি স্থাপন করতে চাচ্ছেন তিনি।
ভারত কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পর অধিকাংশ টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, হিমালয় অঞ্চলটিতে ভারতীয় সরকারের নীতি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মতাদর্শকেন্দ্রিক। এই সংগঠনটি হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী।
কাজেই নয়াদিল্লি সরকারের বর্ণবাদী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে বিশ্বকে উদ্বিগ্ন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমসে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই সাবেক ক্রিকেট তারকা বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দিতে কাশ্মীরে একটি প্রতারণামূলক ভুয়া অভিযান চালাতে পারে ভারত। তবে যে কোনো অভিযানের জবাব দিতে পাকিস্তান বাধ্য হবে।
‘তখন পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াবে। এতে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।’