ভালবেসে বিয়ের পর পরিবার থেকে বিতাড়িত গৃহবধুকে ধর্ষণ করল শ্বশুর
যশোরঃ
তিন মাস আগে ইব্রাহিমকে ভালবেসে বিয়ে করেছিল মেয়েটি। এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়েটির পরিবার। তাই বাবার বাড়ি তাকে ত্যাগ করতে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আপন ভেবে সেখানে শুরু করেছিল সংসার। সেখানে স্বামীর অনুপস্থিতিতে পিতৃতুল্য শ্বশুর একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। মেয়েটি খালার বাড়ির লোকজনের সহায়তায় থানায় মামলা করেছে। ধর্ষক গ্রেফতার হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে আসামি।
সোমবার যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আসামি আমির মিয়া (৫২)। তিনি যশোর সদর উপজেলার সাড়াপোল গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ছেলে ইব্রাহিম প্রেম করে ভিকটিমকে বিয়ে করে। ছেলে-বউ ঘরে ও তারা বাইরে বারান্দায় ঘুমাতেন। বিয়ের পর তার বৌমা বিভিন্ন সময় তার মোবাইল নিয়ে গেমস খেলতেন ও গান শুনতেন। এসব নিয়ে বউমার সাথে বিভিন্ন কথা বার্তা হতো। ঈদের পরে একদিন রাতে বউমাকে আসতে বলেন। রাতে আসলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিম সদর উপজেলার জামরুলতলা গ্রামে তার খালার বাড়িতে যায়। ৩১ আগস্ট তাকে খালার বাড়িতে যেতে বলে। পরে বউমা তার খালাদের বিষয়টি জানিয়ে দেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু শ্বশুর, স্বামী ইব্রাহিম, শ্বাশুড়ী রহিমার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তিন মাস আগে সাড়াপোল এলাকার আমির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিমের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় তার শ্বশুর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও কোনো সাড়া পাননি। পরে একদিন শ্বশুর বলেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না রাখলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। কিন্তু প্রেম করে বিয়ের বিষয় মেয়ের পরিবারের কেউ মেনে নেইনি বলে তার যাবার কোনো জায়গা ছিলনা। এতে করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আমিন মিয়া।