ঢাকাঃ

শিক্ষার্থীদের দেয়া লিখিত ১০ দফা দাবি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভিসি ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেও ভর্তি পরীক্ষা ইস্যুতে অমীমাংসিতই থেকে গেল দু’পক্ষের আলোচনা।

ছাত্রদের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্টতা থাকায় পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কিন্তু বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আশ্বাসে বিশ্বাস নেই তাদের।

এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সিনিয়র শিক্ষক ছাত্রদের প্রতি হাতজোর অনুরোধ করে সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সহযোগিতা চান।

কিন্তু এই প্রস্তাবে কোনোভাবেই রাজি হয়নি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, দাবি বাস্তবায়নের আগে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হবে না। নতুন ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষায় ইস্যুতে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে চলে কথোপকথন। শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেয় তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সমঝোতা না আসায় কোনোরকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভিসি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উঠে যাচ্ছি। আমি তোমাদের বাবার মতো, বাবা হয়ে সন্তানের কাছে অন্তত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সহযোগিতা চাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে অফিসে বসে কাজ করতে না দিলে আমি তোমাদের দাবিগুলো কিভাবে প্রয়োগ করব? আমি এ অবস্থায় আসতে সরকারের অনেক জায়গায় ফোন করে এই পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলাম। এর ফলে আমরা অনেকগুলো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছিলাম। কিন্তু তোমাদের সহযোগিতা না পেলে তার সবই ব্যর্থ হবে।’

ভিসি আরো বলেন, ‘আমি আবারো তোমাদের অনুরোধ করছি তোমাদের সব দাবি মানা হয়েছে। সব দাবি বাস্তবায়ন হবে। প্রয়োজনে তোমাদের সঙ্গে আবারও বসবো।’

একথা বলে ভিসিসহ শতাধিক শিক্ষক একে একে হল ত্যাগ করেন। এদিকে ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আন্দোলন চলবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘তাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here