রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুর নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ডের উত্তর শেখপাড়া আদিবাসী পল্লীর খোকসা ঘাঘট নদীর উপর বিগত ২২ বছর পূর্বে স্থানীয় গ্রামবাসীরা চাঁদা দিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে। গত কয়েকদিন আগেই প্রবল বৃষ্টির ফলে পুরো রংপুর জুড়ো বন্যা হলে ওই গ্রামের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। ফলে ঐ গ্রামসহ আশে-পাশের চারটি গ্রামের মানুষদের প্রায় চার কিলো পথ ঘুড়ে দর্শনা, মর্ডাণ কিংবা শহরের আসতে যেতে হয়। এনিয়ে চরম ভোগান্তির সৃস্টি হয়েছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে দেড় শতাধিক পরিবার।

স্থানীয় শেখপাড়া আদিবাসীর পল্লীর সুরেন ধাওয়ান, নিরঞ্জন ধাওয়ান, রুমী মিং, বাসন্তী লাখড়া, সাহেব আলী, আফসার আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, সাঁকো থাকলে ১ কিলো পথ গেলেই মডার্ণে যাওয়া যেত । এখন চার কিলোমিটার ঘুড়তে হচ্ছে। এই গ্রামে দেড় শতাধিক পরিবার আদিবাসি পরিবার বসবাস করে আসছে। সাঁকোর বিষয়ে বিগত ২২ বছর ধরে মেম্বার, চেয়ারম্যানকে বলেছি। এখন সিটি হওয়াতে কাউন্সিলর-মেয়রকে অবগত করেছি। তারা সরেজমিন পরিদর্শনও করেছেন। তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছেন দ্রæত ব্রীজটি করা হবে কিন্তু আজও সাঁকো করা হয়নি।

শেখপাড়া আদিবাসি পল্লীর সচেতন যুবক টিউলিপ এক্কা বলেন, গত কয়েকদিন আগের ভারী বৃষ্টি ফলে এলাকার মানুষ পানি বন্দী হলে ঘর থেকে বাহির হতে পারেনি ফলে কোন পরিবারকে অনাহারে থাকতে হয়েছে। এমনিতেই আমরা আদিবাসী তবে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধেও আমাদের অবদান কম নয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবন যাপন করেন। সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়াতে তাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে খোকসা ঘাঘট নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করা অতি জরুরী।

এ ব্যাপারে স্থানীয় নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার নাজমা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খোকসা ঘাঘট নদীর ওপর যে সাঁকোটি ছিল তা ভেঙ্গে যাওয়াতে আদিবাসি পল্লীর মানুষজনসহ অনেকেই দুর্ভোগে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি রাস্তা-সাাঁকো নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুল হক জানান, স্টীমেট হয়েছে। মেয়র মহোদয় সাঁকোটি নির্মাণে সজাগ রয়েছেন। বন্যার পানি কমে গেলেই রাস্তাসহ সাঁকোটি নির্মাণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here