যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোরে মোবাইল ফোন টাওয়ারের যন্ত্রাংশ চোর চক্র শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটক আসামিরা বিভিন্ন সময়ে বাংলালিংক, গ্রামীনফোন ও রবি কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে চাকুরি করতেন। তারা মোবাইল ফোন টাওয়ার গুলির ব্যাটারি ইন্সটোলেশনসহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল কার্যক্রমগুলি পরিচালনা করতেন। চাকরি হারানো সাবেক কর্মী রাকিবুল ইসলাম রাকিব ওরফে চঞ্চল, মেজবাউদ্দিন রাজু ওরফে মিরাজের নেতৃত্বেই মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চোর চক্র গড়ে উঠেছে। পুরো চক্রের সন্ধানে মাঠে নেমেছে যশোর পুলিশ।

সোমবার বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক বিফ্রিং এ তথ্য জানানো হয়।

আটকৃতরা হলেন- যশোর সদরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার হারেজ মৃধার ছেলে হারুন অর রশিদ ওরফে মিঠু (৩৮), যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকার খায়েরুজ্জামানের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন মিরাজ (৩২), একই এলাকার ঝুমঝুমপুর দক্ষিণপাড়ার ইউনুছ আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রিমু (২৭), যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট সীতারামপুর এলাকার আবদুর রহিম মোল্লার ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব ওরফে চঞ্চল (৩৮), একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহিম মোল্লা (৫৯), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর মোড়লপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩৬), যশোর সদরের এনায়েতপুর গ্রামের হিরু মোল্লার ছেলে খাইরুল ইসলাম (৩০)।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১২ জানুয়ারি বাঘারপাড়ার বল্লামুখ এলাকার গ্রামীণ ফোন লিমিটেড কোম্পানীর টাওয়ারের ছয় লাখ মূল্যের ব্যাটারি চুরি হয়। এই ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় ২২ জানুয়ারি মামলা হয়। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোর সনাক্ত করা হয়। এরপর ডিবির বিভিন্ন অভিযানে যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরায় এ মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ারের ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ চোর চক্রের সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তারা গত ১২ জানুয়ারি ডাবল কেবিন পিকআপ গাড়ীযোগে বাঘারপাড়ার বল্লামুখ এলাকায় যায়। তারা টাওয়ারের রুমের দরজা ও তালা ভেঙ্গে ব্যাটারি চুরি করে। চোরাই ব্যাটারির শিসা গলিয়ে এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে তারা বিক্রয় করে। এছাড়াও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ও রিক্সায় চুরির ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, একশ’ পিস এক দশমিক পাঁচ ভোল্টের ব্যাটারি, ৪৯টি সার্কিট, ২২টি কুলিং ফ্যান ও টাওয়ারের দরজা, ৩টি ভাঙ্গা তালা ও তালা ভাঙ্গার বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here