যশোরঃ

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রচারণায় হামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি মশিয়ার রহমানসহ দুজন আহত হয়েছেন। মশিয়ারকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে আজ দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী নূর-উন নবী বলেন, ‘আমরা নেতা-কর্মীদের নিয়ে সকালে রূপদিয়া বাজারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলাম। বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে গণসংযোগ করছিলাম। সকাল নয়টায় দিকে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা আমাদের ওপর হকিস্টিক ও রামদা নিয়ে হামলা করেন। এতে যুবদলের নেতা ও ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান ও যুবদলের কর্মী আসাদুজ্জামান আহত হন। মশিয়ারের অবস্থা গুরুতর। তাঁর মাথা ফেটে গেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রথম রাতেই বিড়ালটা মেরে দিল। তারা ভেবেছে, বিএনপি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু আমরা নির্বাচনের লড়াই থেকে পিছপা হব না। শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে নার্গিস বেগম বলেন, ‘নির্বাচনের সমতল মাঠ সৃষ্টি করুন। লড়াই হোক। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মাঠ দখলের চেষ্টা করবেন না। আমাদের কর্মীরা মাঠে আছে। থাকবে।’

সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে নার্গিস বেগম বলেন, দেশে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট কাটার নজির রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে যে আগের রাতে কোনো ভোট হবে না।বিজ্ঞাপন

হামলার অভিযোগ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম বলেন, ‘সেখানে বিএনপির লোকজনের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। একপর্যায় তারা আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করতে আসে। তখন আমাদের নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। আমরা কারও ওপর হামলা করিনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একটু উত্তেজনা ছিল। পরে তা শান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় এই পদটি শূন্য। ২০ অক্টোবর এ পদে ভোট গ্রহণ হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here