ঢাকাঃ

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন। আর বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীমকে প্রেষণ প্রত্যাহার করে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। 

একই সাথে জারি করা অপর এক আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক রসায়নের অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্ত্তীকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম কলেজের উপাধ্যক্ষ ছিলেন।

জানা গেছে, অধ্যাপক মোল্লা আমির হোসেন খুলনার সরকারি জয়বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসেবে ছিলেন।  তিনি মূলত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষক। 

আর বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীমকে প্রেষণ প্রত্যাহার করে ওএসডি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে কেনাকাটায় অনিয়ম, অবৈধ কর্মচারী নিয়োগসহ নানা অভিযোগ ছিল।  

নানা অভিযোগ তদন্তে বেশ কিছুদিন থেকেই দুদকের একটি দল যশোর শিক্ষা বোর্ডে আনাগোনা করছিল। তবে, কি বিষয়ে এ তদন্ত চলছিল তা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশা। এরপরই চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীমকে ওএসডি করা হলো। তিনি শিক্ষা ক্যাডার থেকে অতিরিক্ত সচিব  হওয়া মোল্লা জালালের লোক হিসেবে পরিচিত ছিলো। আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে জামাত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। 

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীমকে প্রেষণ প্রত্যাহার করে ওএসডি করা হয়েছে। যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে ছিল নানা অভিযোগ। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাস থেকে তিনি যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে গতবছরের মাঝামাঝি। অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দরপত্র ছাড়াই ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার কম্পিউটার সামগ্রী কিনেছে। কেনাকাটায় সরকারের ক্রয়বিধি উপেক্ষা করায় স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা দল আপত্তি দিয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ক্যাশ বই, খরচের বিবরণী ও বিল-ভাউচার নিরীক্ষা করে দেখেছেন রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা দল। নিরীক্ষা দলের মতে, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি এড়িয়ে অনিয়মিতভাবে কোটেশন প্রদানের অনুরোধসংবলিত বিজ্ঞপ্তি (আরএফকিউ) অনুসরণ করে কম্পিউটার সামগ্রী কেনা হয়েছে। এর মূল্য ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষমতা (অনুন্নয়ন) সংশোধন আদেশ উপেক্ষা করা হয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অস্তীত্বহীন প্রতিষ্ঠান থেকে এসব পণ্য কেনা হয়। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বিল ভাউচার জমা দেয়া হয়েছে তারা বিল বা কেনাকাটা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here