মেহেরপুরের গাংনীতে নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক যুবদল নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে সহড়বাড়ীয়া-কামারখালী মাঠ থেকে গলাকাটা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে খুনের কারণ সম্বলিত হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি বাঁশাবড়ায়ী গ্রামের মইনুদ্দীন শেখের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সহড়াবাড়ীয়া-কামারখালী মাঠের মধ্যে একটি বাবলা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহের সন্ধান পান স্থানীয়রা। পরে তার স্বজনরা গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এছাড়া গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায় মরদেহটি।
মরদেহের পাশ থেকে হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে অজ্ঞাত এক নারীর বরাতে লেখা- ‘৫ বছর পরকীয়া প্রেম আর শারীরিক সম্পর্ক করে বিয়ে না করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়েছে’।
নিহতের ভাই আল-আমিন হোসেন জানান, মাস দেড়েক আগে দুবাই থেকে বাড়ি ফিরে আসেন আলমগীর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি।
গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহিদুল ইসলাম জানান, আলমগীর হোসেন ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি দলের একজন নিবেদিত কর্মী। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং হতাকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
সবুজদেশ/এসইউ