ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের দাবিতে ঝিনাইদহে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-পরিবার পলাতক

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

শনিবার ভোররাতে ওই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়া খাতুন কাজীপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও একই উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামের মৃত আরব আলীর কন্যা।

নিহত সামিয়ার ভাই আয়ুব হোসেন জানান, ৪ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে ইদ্রিসের সাথে সামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর সামিয়ার গর্ভে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় জিসান। বিয়ের পর থেকে সামিয়ার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে প্রায়ই শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল ইদ্রিস। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় স্বামী ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গলাই রশি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে।

এসময় সামিয়ার আত্ম-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সামিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামী ও তারপরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ইদ্রিসের পরিবারের লোকজন সামিয়ার ছেলে জিসানকে আত্মগোপণ করে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফজলুর রহমান জানান, পারিবারিকভাবে যৌতুক দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এমনকি গতকাল সামিয়াকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সামিয়া খাতুন নির্যাতন সইতে না পেরে গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩১১ Time View

যৌতুকের দাবিতে ঝিনাইদহে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-পরিবার পলাতক

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

শনিবার ভোররাতে ওই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়া খাতুন কাজীপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও একই উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামের মৃত আরব আলীর কন্যা।

নিহত সামিয়ার ভাই আয়ুব হোসেন জানান, ৪ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে ইদ্রিসের সাথে সামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর সামিয়ার গর্ভে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় জিসান। বিয়ের পর থেকে সামিয়ার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে প্রায়ই শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল ইদ্রিস। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় স্বামী ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গলাই রশি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে।

এসময় সামিয়ার আত্ম-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সামিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামী ও তারপরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ইদ্রিসের পরিবারের লোকজন সামিয়ার ছেলে জিসানকে আত্মগোপণ করে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফজলুর রহমান জানান, পারিবারিকভাবে যৌতুক দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এমনকি গতকাল সামিয়াকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সামিয়া খাতুন নির্যাতন সইতে না পেরে গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।