রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র সবই করবে: মিলার
কুড়িগ্রামঃ
‘রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে ও নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য আমেরিকা ও জাতিসংঘের অন্যান্য রাষ্ট্র মিলে যা যা করা দরকার তা সবই করবে। বাংলাদেশ উদারতার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে সেটা প্রশংসার দাবিদার। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পাশে আছে, সব সময় থাকবে।’
শনিবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরে অবস্থিত নটারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বন্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার জনগণ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ১ লাখ ডলার প্রদান করবে। এতে ১ হাজার ২শ’ পরিবারের ৪ হাজার ৯০০ মানুষ সহায়তা পাবে। শনিবার এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
চিলমারীর নটারকান্দি হাইস্কুল মাঠে ত্রাণ বিতরণের আগে চরাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় এই চরাঞ্চলের শতাধিক পরিবারকে নগদ ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ ছাড়া ১০টি প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ও রমনা ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়ন। আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নসহ সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করছে এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা সলিডারিটি।
ত্রাণ বিতরণের সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা, সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশীদ লাল প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সি-প্লেনে কুড়িগ্রাম চিলমারী বন্দরে ব্রহ্মপুত্র নদে অবতরণ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার। এরপর তিনি স্পিডবোটে নটারকান্দি চরে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আবার সি-প্লেনে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।