ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

ছবি সংগৃহীত-

 

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে ‘নেশন বিল্ডার’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নেচার সাময়িকীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে কীভাবে গবেষকেরা আমাদের পৃথিবীকে গড়ছেন, তার স্বীকৃতি এই তালিকা। চলতি বছরের তালিকায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের নতুন ধারণা থেকে শুরু করে একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।

সাময়িকীটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বলেছে, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্ব দিতে আমন্ত্রণ জানানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এটি ছিল ড. ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ছয় দশকের পেশাজীবনে তিনি কখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেননি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করা অ্যালেক্স কাউন্টস বলেন, তিনি আশির কোঠায়, কিন্তু তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। তার সহানুভূতি রয়েছে এবং তিনি একজন চমৎকার যোগাযোগকারী।

সাময়িকীটিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্ম ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তিনি ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুগান্তকারী উদ্ভাবন হলো ‘ক্ষুদ্র ঋণ’। ১৯৭০-এর দশকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকার সময়ে তিনি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে, ক্ষুদ্রঋণ সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র অংশের জীবন বদলে দিতে পারে।

ক্ষুদ্র ঋণের ধারণার ওপর ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে তার ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা সারা বিশ্বে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

Update Time : ০৬:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে ‘নেশন বিল্ডার’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নেচার সাময়িকীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে কীভাবে গবেষকেরা আমাদের পৃথিবীকে গড়ছেন, তার স্বীকৃতি এই তালিকা। চলতি বছরের তালিকায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের নতুন ধারণা থেকে শুরু করে একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।

সাময়িকীটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বলেছে, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশের নেতৃত্ব দিতে আমন্ত্রণ জানানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এটি ছিল ড. ইউনূসের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, ছয় দশকের পেশাজীবনে তিনি কখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেননি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করা অ্যালেক্স কাউন্টস বলেন, তিনি আশির কোঠায়, কিন্তু তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। তার সহানুভূতি রয়েছে এবং তিনি একজন চমৎকার যোগাযোগকারী।

সাময়িকীটিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্ম ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তিনি ১৯৬০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পরিবেশগত অর্থনীতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাস জর্জেসকু-রোগেনের অধীনে পড়াশোনা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুগান্তকারী উদ্ভাবন হলো ‘ক্ষুদ্র ঋণ’। ১৯৭০-এর দশকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকার সময়ে তিনি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে, ক্ষুদ্রঋণ সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র অংশের জীবন বদলে দিতে পারে।

ক্ষুদ্র ঋণের ধারণার ওপর ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে তার ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা সারা বিশ্বে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

সবুজদেশ/এসইউ