শোভন-রাব্বানীর অপসারণ নিয়ে যা বললেন নাহিয়ান-লেখক
ঢাকাঃ
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে সদ্য অপসারিত হওয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং গোলাম রাব্বানী ডাকসুর জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও সিনেট সদস্য। তাদের এই পদ থেকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছে বাম ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন গ্রুপ।
এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সদ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেয়া আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
সোমবার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগের দায়িত্ব নেয়ার পর সাংবাদিকদেরকে তারা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাহিয়ান জয় বলেন, ডাকসু এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। গোলাম রাব্বানী ডাকসুর জিএস থাকবেন কিনা সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করবে।
আর লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও ডাকসু ভিন্ন। শোভন-রাব্বানীর পদে থাকার বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রশাসন নেবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনো অভিযোগ থাকলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ কখনো আদর্শচ্যুত হতে পারে না।
দেশের আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষী এ সংগঠনে অনুপ্রবেশের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা যদি ঘটে থাকে, আপনাদের সহযোগিতা এবং প্রয়োজন হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে। সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।