ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ: মির্জা ফখরুল

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি আদায় করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনের তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আজ শুক্রবার রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। পথে পথে বাধা অতিক্রম করে আপনারা গণতন্ত্রের জন্য এসেছেন। এখন সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ। আজকে প্রশ্ন, গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে কি না, তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই স্বৈরাচার সরকার আটকে রেখেছে। তিনি অসুস্থ, হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল, সেখান থেকে তাঁকে জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। তারা পুলিশ দিয়ে, বন্দুক-পিস্তল দিয়ে মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে বাংলাদেশের মুক্তি জন্য লড়াই করছি। সে জন্য আমরা সংলাপে বসেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু তারা তা করেনি।’

সমাবেশে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই, আমাদের উসকানি দেবেন না। ৭ দফা না মানলে দেশে নির্বাচন হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, তাই সংলাপ সফল হয়নি। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলেন বলে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি, এবারও তাঁকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে এই প্রথম যোগ দিলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই।

এই সমাবেশে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন যোগ দেননি। তবে তিনি মোবাইল ফোনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। গণফোরাম থেকে সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ দলের অন্য নেতারা সমাবেশে যোগ দেন।

এর আগে ২৪ অক্টোবর ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করা হয়। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে এ ধরনের একটি ঐক্য গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৈঠকের পর বৈঠক, নানা হিসাব-নিকাশের পর ঐক্য প্রক্রিয়ায় আসা দলগুলো অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্যে এক হয়। এসব দাবি দাওয়া নিয়ে গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সংলাপে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
৯৩৮ Time View

সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি আদায় করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনের তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আজ শুক্রবার রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন। পথে পথে বাধা অতিক্রম করে আপনারা গণতন্ত্রের জন্য এসেছেন। এখন সংকট আরও কঠিন, আরও ভয়াবহ। আজকে প্রশ্ন, গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে কি না, তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই স্বৈরাচার সরকার আটকে রেখেছে। তিনি অসুস্থ, হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল, সেখান থেকে তাঁকে জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ধরে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। তারা পুলিশ দিয়ে, বন্দুক-পিস্তল দিয়ে মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে বাংলাদেশের মুক্তি জন্য লড়াই করছি। সে জন্য আমরা সংলাপে বসেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু তারা তা করেনি।’

সমাবেশে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই, আমাদের উসকানি দেবেন না। ৭ দফা না মানলে দেশে নির্বাচন হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, তাই সংলাপ সফল হয়নি। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলেন বলে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি, এবারও তাঁকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে এই প্রথম যোগ দিলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই।

এই সমাবেশে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন যোগ দেননি। তবে তিনি মোবাইল ফোনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। গণফোরাম থেকে সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ দলের অন্য নেতারা সমাবেশে যোগ দেন।

এর আগে ২৪ অক্টোবর ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করা হয়। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে এ ধরনের একটি ঐক্য গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৈঠকের পর বৈঠক, নানা হিসাব-নিকাশের পর ঐক্য প্রক্রিয়ায় আসা দলগুলো অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্যে এক হয়। এসব দাবি দাওয়া নিয়ে গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সংলাপে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন।