সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হলেই ইভিএম ব্যবহার : সিইসি
সবুজদেম ডেক্সঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ইভিএম ভোটারদের ওপরে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। সকল ক্ষেত্রে সম্মতি ও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হলেই আগামী সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। শনিবার খুলনায় দিনব্যাপী ইভিএম মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে ভোটারদের সচেতনতা তৈরিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে চাই ও ভোটগ্রহনের একটা স্থায়ীত্ব সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন, অক্টোবরের ৩০ তারিখের পর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সময় রয়েছে। নভেম্বরের দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হবে। তবে নির্বাচনের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তির বিষয়ে সিইসি বলেন, দেশের ৮টি অঞ্চলে ইভিএম প্রদর্শনী হচ্ছে। ৬৪ জেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহন হয়েছে। খুলনায় বিএনপির লোকজন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন। কোথাও প্রতিবন্ধকতা আসে নাই। তবে ইভিএম নিয়ে তাদের আস্থা তৈরি করার দায়িত্ব আমাদের। এভাবে প্রদর্শনী ও প্রচারের মাধ্যমে তাদেও আস্থা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিগত নির্বাচনগুলোর ধারাবাহিকতায় সেনা মোতায়েন করা হবে।
জানা যায়, খুলনায় ইভিএম মেলায় একটি পরিপূর্ন ‘ছায়া ভোট’ এর আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ১৪টি কক্ষে রয়েছে ১৫টি ভোটিং মেশিন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মহানগরীর ১৮ ও ২১নং ওয়ার্ডের চারটি এলাকার ৭ হাজার ৩৯ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার এসএম সফিউল্লাহ। এসময় ইভিএম সম্পর্কে বিশেষ উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেইনটেন্স ইঞ্জিনিয়র মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী।