ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়-র‌্যাব হেড কোয়ার্টার্সসহ ১৭টি প্রকল্প ক্যাসিনো শামীমের হাতে!

Reporter Name

ঢাকাঃ

জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক ও যুবলীগ নেতা এম গোলাম কিবরিয়া শামীম প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বড় ১৭টি প্রকল্পের কাজ করছিলেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সচিবালয়, সচিবালয় ক্যাবিনেট ভবন, র‌্যাব হেড কোয়ার্টার্স, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, বিজ্ঞান জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানের কাজ।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, নগদ নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক এবং মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকালে সাংবাদিকদের কাছে শামীমের হাতে থাকা এই ১৭টি প্রকল্পের কথা জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী দিদার।

দিদারের ভাষ্যে- ‘শামীম স্যার সরকারের সব বড় বড় প্রকল্পের কাজ করছেন, সুতরাং তার কাছে এত টাকা থাকতেই পারে। তিনি বর্তমানে ১৭টি বড় প্রকল্পের কাজ করছেন। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪০০ কোটি এবং পঙ্গু হাসপাতালে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকার কাজ রয়েছে। এ ছাড়া সচিবালয়ে ক্যাবিনেট ভবনে ১৫০ কোটি টাকা, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সে ৫০০ কোটি টাকা, এনবিআরে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রয়েছে তার হাতে।’

শামীমের পিএস আরো জানান, মহাখালী ডাইজেস্টিভে ২০০ কোটি টাকা, বেইলি রোডে ৩০০ কোটি টাকা, অ্যাজমা, ক্যানসার ও সেবা মহাবিদ্যালয় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা করে, নিউরো সায়েন্সে ও বিজ্ঞান জাদুঘরে ৮০ কোটি টাকা করে, পিএসসিতে ১২ কোটি টাকা, র‌্যাব ফোর্সে ৩০-৬০ কোটি টাকা, এনজিও ফাউন্ডেশনে ৬৫ কোটি টাকা এবং মিরপুর-৬ এ ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রয়েছে।

যদিও শামীমকে গ্রেফতারের বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে আমরা শামীমের বাসা ঘেরাও করি। সেখান থেকে তার সাতজন দেহরক্ষীকে আটক এবং অস্ত্র, শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এর পর শামীমকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তার অফিসে তল্লাশি চালাই। অভিযানে ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর চেক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকি ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে নগদ অর্থ ও মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে কোনো এফডিআর থাকার নিয়ম নেই, অথচ অধিকাংশ এফডিআরই শামীমের মায়ের নামে রয়েছে। এসব কারণে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।

অন্যদিকে, র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, শামীম আর তার মায়ের নামে এফডিআরের যে অর্থ পাওয়া গেছে, সেগুলো কোনো অবৈধ উৎস থেকে এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে মানি লন্ডারিংয়ের আইনে মামলা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া অভিযান পরিচালনা করে না। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও সেটির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল আমাদের কাছে। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে ছাড়া পাবেন।

যেভাবে ঠিকাদারি জগতের রাজা শামীম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেঝো। বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন যুবদলের ওয়ার্ড রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন শামীম।

পরে খুব কম সময়েই নাম লেখান যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক পদে। হয়ে উঠেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ডান হাত। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাদের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে গণপূর্ত ভবনের ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণে নেন।

ক্ষমতার পালাবদল হলে শামীমও ভোল বদলে ফেলেন, যোগ দেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগে। এখন তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেরও সহ-সভাপতি।

যুবলীগে যোগ দেয়ার পর আবারও শামীম বাগাতে থাকেন সরকারি টেন্ডার। যে কারণে তার নাম হয়ে যায় ‘টেন্ডার শামীম’। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় শামীম ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, গণপূর্ত ভবনের বেশি ভাগ ঠিকাদারি কাজ তিনিই করেন।

সারা বাংলাদেশের কনস্ট্রাকশনের যত বড় বড় কাজ হয় সকল কাজ শামীমের নির্বাচিত ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ করতে পারেন না। যদি কেউ জি কে শামীমকে না জানিয়ে দরপত্র ক্রয় করেন তবে তার পরিণাম হয় ভয়ঙ্কর। ওই প্রতিষ্ঠানে তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী শুধু হামলাই করবে না, প্রয়োজনে তাদের মেরেও ফেলতে পারে।

বাসাবো এলাকায় পাঁচটি বাড়ি এবং একাধিক প্লট রয়েছে শমীমের। বাসাবোর কদমতলায় ১৭ নম্বরের পাঁচতলা বাড়িটি জি কে শামীমের। বাড়িটি ম্যানেজার হিসেবে দেখাশোনা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন সর্দার।

জানা গেছে, যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদের স্বীকারোক্তিতে বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে জি কে শামীমের নাম উঠে আসে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৪৫২ Time View

সচিবালয়-র‌্যাব হেড কোয়ার্টার্সসহ ১৭টি প্রকল্প ক্যাসিনো শামীমের হাতে!

আপডেট সময় : ১১:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঢাকাঃ

জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক ও যুবলীগ নেতা এম গোলাম কিবরিয়া শামীম প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বড় ১৭টি প্রকল্পের কাজ করছিলেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সচিবালয়, সচিবালয় ক্যাবিনেট ভবন, র‌্যাব হেড কোয়ার্টার্স, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, বিজ্ঞান জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানের কাজ।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, নগদ নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক এবং মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকালে সাংবাদিকদের কাছে শামীমের হাতে থাকা এই ১৭টি প্রকল্পের কথা জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী দিদার।

দিদারের ভাষ্যে- ‘শামীম স্যার সরকারের সব বড় বড় প্রকল্পের কাজ করছেন, সুতরাং তার কাছে এত টাকা থাকতেই পারে। তিনি বর্তমানে ১৭টি বড় প্রকল্পের কাজ করছেন। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৪০০ কোটি এবং পঙ্গু হাসপাতালে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকার কাজ রয়েছে। এ ছাড়া সচিবালয়ে ক্যাবিনেট ভবনে ১৫০ কোটি টাকা, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সে ৫০০ কোটি টাকা, এনবিআরে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রয়েছে তার হাতে।’

শামীমের পিএস আরো জানান, মহাখালী ডাইজেস্টিভে ২০০ কোটি টাকা, বেইলি রোডে ৩০০ কোটি টাকা, অ্যাজমা, ক্যানসার ও সেবা মহাবিদ্যালয় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা করে, নিউরো সায়েন্সে ও বিজ্ঞান জাদুঘরে ৮০ কোটি টাকা করে, পিএসসিতে ১২ কোটি টাকা, র‌্যাব ফোর্সে ৩০-৬০ কোটি টাকা, এনজিও ফাউন্ডেশনে ৬৫ কোটি টাকা এবং মিরপুর-৬ এ ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রয়েছে।

যদিও শামীমকে গ্রেফতারের বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে আমরা শামীমের বাসা ঘেরাও করি। সেখান থেকে তার সাতজন দেহরক্ষীকে আটক এবং অস্ত্র, শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এর পর শামীমকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তার অফিসে তল্লাশি চালাই। অভিযানে ১৬৫ কোটি টাকার বেশি এফডিআর চেক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, বাকি ২৫ কোটি টাকা তার নামে। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে নগদ অর্থ ও মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে কোনো এফডিআর থাকার নিয়ম নেই, অথচ অধিকাংশ এফডিআরই শামীমের মায়ের নামে রয়েছে। এসব কারণে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।

অন্যদিকে, র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, শামীম আর তার মায়ের নামে এফডিআরের যে অর্থ পাওয়া গেছে, সেগুলো কোনো অবৈধ উৎস থেকে এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে মানি লন্ডারিংয়ের আইনে মামলা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া অভিযান পরিচালনা করে না। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও সেটির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল আমাদের কাছে। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে ছাড়া পাবেন।

যেভাবে ঠিকাদারি জগতের রাজা শামীম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেঝো। বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন যুবদলের ওয়ার্ড রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন শামীম।

পরে খুব কম সময়েই নাম লেখান যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক পদে। হয়ে উঠেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ডান হাত। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাদের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে গণপূর্ত ভবনের ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণে নেন।

ক্ষমতার পালাবদল হলে শামীমও ভোল বদলে ফেলেন, যোগ দেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগে। এখন তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেরও সহ-সভাপতি।

যুবলীগে যোগ দেয়ার পর আবারও শামীম বাগাতে থাকেন সরকারি টেন্ডার। যে কারণে তার নাম হয়ে যায় ‘টেন্ডার শামীম’। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় শামীম ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, গণপূর্ত ভবনের বেশি ভাগ ঠিকাদারি কাজ তিনিই করেন।

সারা বাংলাদেশের কনস্ট্রাকশনের যত বড় বড় কাজ হয় সকল কাজ শামীমের নির্বাচিত ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ করতে পারেন না। যদি কেউ জি কে শামীমকে না জানিয়ে দরপত্র ক্রয় করেন তবে তার পরিণাম হয় ভয়ঙ্কর। ওই প্রতিষ্ঠানে তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী শুধু হামলাই করবে না, প্রয়োজনে তাদের মেরেও ফেলতে পারে।

বাসাবো এলাকায় পাঁচটি বাড়ি এবং একাধিক প্লট রয়েছে শমীমের। বাসাবোর কদমতলায় ১৭ নম্বরের পাঁচতলা বাড়িটি জি কে শামীমের। বাড়িটি ম্যানেজার হিসেবে দেখাশোনা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন সর্দার।

জানা গেছে, যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদের স্বীকারোক্তিতে বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে জি কে শামীমের নাম উঠে আসে।