ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ডিবি ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিনের বাড়ী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃত্যু খবরে কালীগঞ্জের ভোলপুর গ্রামে মানুষের মধ্যে শোক বিরাজ করছে। হঠাত করেই মধ্য রাতে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তার বৃদ্ধা মা সহ পরিবারটি। ভোলপুর গ্রামের মৃত বিশারত মন্ডলের ৭ সন্তানের মধ্যে নিহত জালাল উদ্দিন ছিল পরিবারের ৩ সন্তান। তারা ৫ ভাই ও দুই বোন। গ্রামের বাড়িতে যৌথ পরিবার হিসাবে অন্যান্য ভাইয়েরাও এক সাথে বসবাস করে। কোন ভাবেই পরিবারটি মেনে নিতে পারছে না এই মৃত্যুর সংবাদ। নিহতের মা আয়েশা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ৩ মাস আগে ছেলে জালাল উদ্দিন বাড়ীতে এসেছিল। কয়েকদিন থাকার পর ঢাকায় যাওয়ার আগে বলে, ৩ মাস পর আবার আসব। তিনি আরও বলেন, সবাই বেঁচে গেল আর আমার ছেলে মারা গেল। এ কষ্ট আমি আর ভুলতে পারছি না। মেজ ভাই আলাউদ্দিন বলেন, গ্রামে পাশের স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার পর পুলিশে যোগদেয় তার ভাই। প্রমোশন পেয়ে ইন্সপেক্টর হয়েছিল। অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন পরিবারটি।
উলে¬খ্য, সোমবার মধ্যরাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মধ্য পীরেরবাগের একটি অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে। এসময় ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here