সবুজদেশ ডেক্সঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে। সরকারের পরাজয় হবে সামনে। সিলেটে জনসভার জন্য পরশু দিন অনুমতি দেওয়া হলো, আবার নিয়ে নেওয়া হলো। এতে প্রমাণিত, সরকার জনপ্রিয়তায় কত নিচে নেমে গেছে। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, এটাই তারা বারবার প্রমাণ করছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম নামের একটি সংগঠনের আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ এ মন্তব্য করেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ ঐক্যফ্রন্টকে ভয় পায়। এই ঐক্যের মাধ্যমে বিএনপি যে সঠিক কাজ করেছে, সরকারের সমালোচনা শুনেই সেটা বোঝা যায়। তাদের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে প্রমাণ হয়ে গেছে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হবে।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, সময় কম, অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকারের বাঁধ ভাঙতে হবে। মাঠে নামতে হবে, যেন সরকার আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে প্রমাণ করবে দেশের মানুষ বিএনপিকে পছন্দ করে। কঠিন কাজ একটি স্বৈরচার সরকারকে হটানো। তারাই আজকে বলছে সরকার ক্ষমতায় না থাকলে তিন লাখ লোক মারা যাবে। আওয়ামী লীগ যদি এতই ভালো কাজ করে থাকে, তাহলে ভয় কিসের? তারা অন্যায়-অত্যাচার, দুর্নীতি করেছে বলেই ভয় পাচ্ছে। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না।

মওদুদ আহমদ বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে একটি আশা তৈরি হয়েছে। আজকে গ্রামগঞ্জের মানুষ একটাই কথা বলে, ঐক্য হয়ে গেছে। মনে একটা আশা তৈরি হয়েছে। একটা আশার আলো দেখতে পারছে দেশের মানুষ। নিজেদের মধ্যে একটি আস্থা ফিরে পেয়েছে। মানুষ আশা দেখছে আগামী নির্বাচনে নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারবে।

সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও জিততে পারবেন না। এই ভয়ে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। আর তিন মাসও নেই, কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বোঝা যায় তারা আজকে কতটা ভীত। সরকারের উচিত ছিল নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু উল্টো প্রমাণ করেছে, তারা একক নির্বাচন করতে চায়। শুধু এই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। সরকারই ইচ্ছেকৃতভাবে পরিবেশ নষ্ট করছে।

মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। একেকটি মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আজকে নেতা-কর্মীদের আগাম জামিনের জন্য আসতে হচ্ছে ঢাকায়। বিএনপির নেতা-কর্মীকে সাড়ে তিন লাখ আসামি করেছে । এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ? ভুতুড়ে মামলা করে সব নেতা-কর্মীকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করে সরকার আজকে আতঙ্কিত করে তুলছে। এটা সরাসরি সংবাদমাধ্যমে হস্তক্ষেপ। সম্প্রচার আইন করা হয়েছে নির্বাচনের আগে সরকারের সমালোচনা যেন না করতে পারে। গণমাধ্যমগুলোতে শুধু সরকারের উন্নয়নের গান গাইতে হবে, কোনো সমালোচনা করা যাবে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here