ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৭:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে।

 

সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হাত, পা বেঁধে পুকুরের পানিতে ফেলে লাশ গুমের চেষ্টার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের মুদি দোকানী আব্দুস সালামের দোকানের সামনে থেকে একজনকে আটক করে।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম রেজোয়ান কবীর জনি (২২)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে। জনির দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের একজোড়া কানের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত নুসরত জাহান রাহী ( সাড়ে ৮ বছর) আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম রুবেল এর মেয়ে ও আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

মাদকের টাকা যোগাড় করতে মাদক সেবী পার্টনার এর মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে বন্ধুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কানের সোনার দুল ছিনতাই করা হয়। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় দুই হাত ও দুই হাত বেঁধে ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করতে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। শনিবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের কলেজ শিক্ষক লুৎফর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনের পুকুর থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে রবিবার কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা(৪নং) দায়ের করেছেন। নিহত নূসরত জানান রাহীর লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে রোববার বিকালে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউল কবীর জনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ি নিহতের খোয়া যাওয়া কানের এক জোড়া সোনার দুল উদ্ধার করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :

সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

Update Time : ০৭:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হাত, পা বেঁধে পুকুরের পানিতে ফেলে লাশ গুমের চেষ্টার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের মুদি দোকানী আব্দুস সালামের দোকানের সামনে থেকে একজনকে আটক করে।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম রেজোয়ান কবীর জনি (২২)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে। জনির দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহতের একজোড়া কানের দুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত নুসরত জাহান রাহী ( সাড়ে ৮ বছর) আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম রুবেল এর মেয়ে ও আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

মাদকের টাকা যোগাড় করতে মাদক সেবী পার্টনার এর মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে বন্ধুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কানের সোনার দুল ছিনতাই করা হয়। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় দুই হাত ও দুই হাত বেঁধে ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করতে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। শনিবার(১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের কলেজ শিক্ষক লুৎফর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনের পুকুর থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে রবিবার কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা(৪নং) দায়ের করেছেন। নিহত নূসরত জানান রাহীর লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে রোববার বিকালে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউল কবীর জনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ি নিহতের খোয়া যাওয়া কানের এক জোড়া সোনার দুল উদ্ধার করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ