ঢাকাঃ

করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়াও ঈদে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশের কথাও রয়েছে।

বুধবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের আগের চারদিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দুদিন, এই সাতদিন সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। এই সাতদিন প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও জানান, যে যেখানে অবস্থান করছেন, এবার সেখানেই তাকে ঈদ করতে হবে।

এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ঈদের আগে মাত্র চারটি কর্মদিবস রয়েছে। সে হিসেবে চারদিনের জন্য অফিস খুললে আরও সমস্যা হতে পারে। এজন্য ওই চারদিন এবং ঈদের বন্ধসহ ঈদ পরবর্তী সময় পর্যন্ত ছুটির ঘোষণা আসতে পারে।

২৫ মে ঈদ হবে এমনটা ধরে নিয়ে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ মে রোজার ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে। ঈদ ২৬ মে হলে ছুটি একদিন বেড়ে ২৭ মে-তেও ঈদের ছুটি থাকবে।

এর আগে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা আছে। ২১ মে শবে কদর এবং ২২ ও ২৩ মে শুক্র-শনিবারের সাধারণ ছুটি। ২৪ মে থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এভাবে বিশ্বের আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে।

এরপর সেই ছুটির মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। এপ্রিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই আদেশ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

এখন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here