কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা এলাকা থেকে এক হিন্দু দম্পত্তি স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ওই হিন্দু দম্পত্তির শোবার ঘর থেকে তাদের দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে তাদের সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তাদের লাশ দেখতে পান। স্বামী দিপুল কুমার রায় (৩১) ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল আর আর স্ত্রী সোহাগী রানী (২৩) বিছানায় শোয়া অবস্থায় ছিল।
নিহতদের স্বজনরা জানান,ভারত চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে সোহাগী রানীর বাড়ী ঘটনাস্থল ভালুকা গ্রামে। আর তার স্বামী দিপল কুমার রায় ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কোমল কুমার রায়’র ছেলে। চলতি বছরের ২৭ জুন তাদের বিয়ে হয়।
সোহাগী রানীর চাচাত ভাই লিপু মন্ডল জানান, গেল পুজায় দিপল কুমার স্ত্রীর বাড়ীতে বেড়াতে আসে। গতকাল গেল রাতে শোবার আগে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। সকালে সোহাগী রানীর চাচাত বোন ট্রুটপেষ্ট নিতে তাদের দরজার কড়া নাড়লে কোন শাড়া শব্দ পাননি। এলাকাবাসী দরজা ভেঙ্গে তাদের লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, ধারনা করা হচ্ছে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী গলাই ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।