পর্যাপ্ত হজযাত্রী না পাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ ফ্লাইট দুটির যাত্রীদের পরবর্তী ফ্লাইটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া হবে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিমানের হজ ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটল।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, আজকের বাতিল হওয়া দুটি ফ্লাইটের মধ্যে বিজি ১০৬৩ ফ্লাইটটি দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া বিজি ৫০৬১ ফ্লাইটের যাত্রার সময় ছিল আজ বিকেল পৌনে চারটা। এ নিয়ে বিমানের হজের বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা দাঁড়াল সাত। এবারে হজে বিমানের ৫ হাজার ৮০০টি টিকিট এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। তাই আরও হজ ফ্লাইট বাতিল হতে পারে। এ জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত টিকিট কেনার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে বিজি ৩০৫৯ এবং রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে বিজি ৫০৫৯ নম্বর ফ্লাইট দুটি পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় বাতিল করে বিমান কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ জুলাইও বিমানের হজের দুটি ফ্লাইট (বিজি ১০৪৫ ও বিজি ৭০৪৫) বাতিল হয়। ৩১ জুলাই আরেকটি ফ্লাইট বাতিল হয়।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মুসল্লি হজে যাবেন। এর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে জেদ্দা যাবেন। বাকিরা যাবেন সৌদি এয়ারলাইনসে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৫৬ হাজার ৪০১ জন।

৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রথম হজ ফ্লাইট ছেড়ে যায় ১৪ জুলাই। ১১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

১৪ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হজের আগে মোট ১৮৭টি ফ্লাইট যাওয়ার কথা। হজ-পরবর্তী ১৭২টি ফ্লাইট চলবে ২৭ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

প্রত্যেক হজযাত্রী সর্বাধিক ৪৬ কেজি মালামাল ও কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি নিয়ে আসা হবে। তাঁরা ফিরে এলে তাঁদের তা দেওয়া হবে। হাজিরা কোনোভাবেই নিজেরা পানি বহন করতে পারবেন না।

গত বছর যাত্রী-সংকটের কারণে বিমানের ২৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here