হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা বা ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ‘ফরোয়ার্ডেড’ লেবেল নামে একটি ফিচার আনা হয়েছে, যাতে বার্তা ফরোয়ার্ড করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা এসেছে। ফিচারটির মধ্যে নিরাপত্তা-ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাইবার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান চেকপয়েন্টের গবেষকেরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ফিচার কাজে লাগিয়ে সাইবার দুর্বৃত্তরা বার্তা পড়ার পাশাপাশি তাতে পরিবর্তন আনার সুযোগও পেতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

চেকপয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপত্তা-ত্রুটি রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই ত্রুটি কাজে লাগিয়ে সাইবার দুর্বৃত্তরা বার্তা পরিবর্তন করে নিজের উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে পারে। এসব বার্তা তারা গ্রুপ বা ব্যক্তিগত আলাপচারিতার সময় পাঠাতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা-ত্রুটি কাজে লাগিয়ে তিন ধরনের আক্রমণ করা হতে পারে। তারা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোনো উত্তর দেওয়ার সময় তা বদলে দিতে পারে। গ্রুপ কনভারসেশনের সময় এমন একটি বার্তা দিতে পারে, যা গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে কারও পাঠানো বার্তা মনে হতে পারে। গ্রুপের কাউকে ব্যক্তিগত বার্তাও দিতে পারে।

চেকপয়েন্টের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপত্তা-ত্রুটির বিষয়টি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়টির কোনো সমাধান এসেছে কি না, তা হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এখনো জানায়নি।

সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ডিজিটাল লিটারেসি নামে একটি ফিচার চালু করেছে, যা ব্যবহারকারীদের ভুয়া খবর সম্পর্কে সচেতন করবে। এ ছাড়া তারা ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য কিছু ক্ষমতা রাখছে তারা। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপে বার্তা দেওয়ার বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here