ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যা মামলার ১৫ বছর পর প্রধান আসামি আটক

 

দীর্ঘ ১৫ বছর পর মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামে মিটু হত্যার প্রধান আসামিকে আটক করেছে পিবিআই যশোর। মামলার তদন্ত শেষে প্রধান আসামি ছিদ্দিক মুন্সিকে গ্রেপ্তার করার পর বেরিয়ে আসে হত্যার প্রকৃত রহস্য। ছিদ্দিক সংকোচখালী গ্রামের আব্দুস সালাম মুন্সির ছেলে।

পিবিআই জানায়, ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল সকালে মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামের একটি জমি থেকে মিন্টুর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে মিটুর বাবা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছিদ্দিক মুন্সিসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

পিবিআই যশোরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, তার তদন্তে উঠে আসে মিটুর হত্যাকাণ্ডে ছিদ্দিক মুন্সি সরাসরি জড়িত। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে ছিদ্দিককে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে মাগুরা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মামলাটি প্রথমে সিআইডি তদন্ত করে চার্জশীট দাখিল করে। তবে আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে মামলার স্থগিতাদেশ নেন। ২০১৬ সালে স্থগিতাদেশ খারিজ হলে আদালত সিআইডি যশোরকে পুনরায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। অবশেষে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালত পিবিআই যশোরকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তদন্তে উঠে আসে পূবপরিকল্পিতভাবে ছিদ্দিক মুন্সির নেতৃত্বে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

হত্যা মামলার ১৫ বছর পর প্রধান আসামি আটক

Update Time : ০৮:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

দীর্ঘ ১৫ বছর পর মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামে মিটু হত্যার প্রধান আসামিকে আটক করেছে পিবিআই যশোর। মামলার তদন্ত শেষে প্রধান আসামি ছিদ্দিক মুন্সিকে গ্রেপ্তার করার পর বেরিয়ে আসে হত্যার প্রকৃত রহস্য। ছিদ্দিক সংকোচখালী গ্রামের আব্দুস সালাম মুন্সির ছেলে।

পিবিআই জানায়, ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল সকালে মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামের একটি জমি থেকে মিন্টুর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে মিটুর বাবা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছিদ্দিক মুন্সিসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

পিবিআই যশোরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, তার তদন্তে উঠে আসে মিটুর হত্যাকাণ্ডে ছিদ্দিক মুন্সি সরাসরি জড়িত। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে ছিদ্দিককে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে মাগুরা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মামলাটি প্রথমে সিআইডি তদন্ত করে চার্জশীট দাখিল করে। তবে আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে মামলার স্থগিতাদেশ নেন। ২০১৬ সালে স্থগিতাদেশ খারিজ হলে আদালত সিআইডি যশোরকে পুনরায় মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। অবশেষে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালত পিবিআই যশোরকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তদন্তে উঠে আসে পূবপরিকল্পিতভাবে ছিদ্দিক মুন্সির নেতৃত্বে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ