ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৭টি বাঁক যেন মৃত্যুফাঁদ

Reporter Name

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর শাখারিয়া থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার বান্দ্রা পর্যন্ত ১৭টি বাঁকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের এই অংশে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের প্রাণ ঝরেছে। অথচ এসব বাঁককে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করার কথা থাকলেও তা নেই।

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর শাখারিয়া থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৭টি বাঁক রয়েছে। শাখারিয়া, ব্রিকফিল্ড, কেওয়াবুনিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, আমড়াগাছিয়া খানকা, ডাক্তারবাড়ি, ঘটখালী, তুলাতলী, এ কে স্কুল চৌরাস্তা, ছুরিকাটা, মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, খলিয়ান, কল্যাণপুর ও বান্দ্রা এলাকায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মহাসড়কের ওই অংশের ১৭টি বাঁকে বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারকাজ শেষ হলে সাংকেতিক চিহ্নসংবলিত নির্দেশনা স্থাপন করা হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে মহাসড়কের এই অংশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৬ জন। এ বছরের সাত মাসে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত চার মাসে আহত হয়েছেন ৫২০ জন। গত ২৬ জুলাই একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অপরদিক থেকে আসা একটি তিন চাকার যানের (মহেন্দ্র) মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও ৩ জন আহত হন। মানিকঝুড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত এসব বাঁকে দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে কোনো সাংকেতিক চিহ্নসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করছে না। ফলে বাস ও অন্যান্য যানবাহনের চালকেরা বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন না।

বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের সবচেয়ে বিপজ্জনক বাঁকটি খুড়িয়ার এলাকায়। এই বাঁকে কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড নেই।

বাসচালক মজিবুর রহমান বলেন, কোনো সাংকেতিক নির্দেশক না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁক অতিক্রম করতে তাঁদের সমস্যা হয়। বিশেষ করে রাতে।

বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি তুসার রেহমান বলেন, এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক চিহ্নিত করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ)। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সওজ উদাসীনতা দেখাচ্ছে। এসব বিষয় সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় হুমকি।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৯:৪৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
৮৯৫ Time View

১৭টি বাঁক যেন মৃত্যুফাঁদ

Update Time : ০৯:৪৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর শাখারিয়া থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার বান্দ্রা পর্যন্ত ১৭টি বাঁকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের এই অংশে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের প্রাণ ঝরেছে। অথচ এসব বাঁককে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করার কথা থাকলেও তা নেই।

বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর শাখারিয়া থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৭টি বাঁক রয়েছে। শাখারিয়া, ব্রিকফিল্ড, কেওয়াবুনিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, আমড়াগাছিয়া খানকা, ডাক্তারবাড়ি, ঘটখালী, তুলাতলী, এ কে স্কুল চৌরাস্তা, ছুরিকাটা, মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, খলিয়ান, কল্যাণপুর ও বান্দ্রা এলাকায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মহাসড়কের ওই অংশের ১৭টি বাঁকে বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারকাজ শেষ হলে সাংকেতিক চিহ্নসংবলিত নির্দেশনা স্থাপন করা হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে মহাসড়কের এই অংশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৬ জন। এ বছরের সাত মাসে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত চার মাসে আহত হয়েছেন ৫২০ জন। গত ২৬ জুলাই একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অপরদিক থেকে আসা একটি তিন চাকার যানের (মহেন্দ্র) মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও ৩ জন আহত হন। মানিকঝুড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত এসব বাঁকে দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে কোনো সাংকেতিক চিহ্নসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করছে না। ফলে বাস ও অন্যান্য যানবাহনের চালকেরা বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন না।

বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলম বলেন, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের সবচেয়ে বিপজ্জনক বাঁকটি খুড়িয়ার এলাকায়। এই বাঁকে কোনো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড নেই।

বাসচালক মজিবুর রহমান বলেন, কোনো সাংকেতিক নির্দেশক না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁক অতিক্রম করতে তাঁদের সমস্যা হয়। বিশেষ করে রাতে।

বাংলাদেশ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি তুসার রেহমান বলেন, এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক চিহ্নিত করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ)। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সওজ উদাসীনতা দেখাচ্ছে। এসব বিষয় সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় হুমকি।