ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৯ বছরে ৩ বিয়ে: ঝিনাইদহে বাসর ঘরের পরিবর্তে জেলে ঠাই হলো বরের

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

কঠোর গোপনীয়তায় ১৩ বছরের কিশোরী শামীমাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে একদিন আগেই। হাতে মেহেদী। বিয়ে বাড়ির ধুমধাম চলছে। এর মধ্যে প্রশাসনের নোটিশে চক্ষু চড়ক গাছে ওঠে বর ও কনের পরিবারের।

নোটিশ পেয়ে কয়ারগাছি আবাসন প্রকল্পে হাজির হয় নতুন বর নুর আলম, কনের পিতা হারুন অর রশিদ ও বিয়ের কাজী ইমানুল হোসাইন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাম্মি ইসলামের আশার খবরে চাউর হয়ে পড়ে নতুন বর নুর আলমের একাধিক বিয়ের কাহিনী। মাত্র ১৯ বছর বয়সে সে ৩ বিয়ে করেছে বলে ভ্রাম্যমান আদালতের কর্মকর্তারা জানতে পারেন। বিষয়টি সত্য হওয়ায় ও বাল্য বিয়ে করার দায়ে বর নূর আলমকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ‘২০১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া কনের পিতা হারুন অর রশিদ, মেয়ের মামা হায়দার আলী ও বিয়ের কাজী ইমানুল হোসাইনকে কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার কোথাও বাল্যবিয়ে হতে দেওয়া হবে না। এটা অপরাধ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
৪৬৪ Time View

১৯ বছরে ৩ বিয়ে: ঝিনাইদহে বাসর ঘরের পরিবর্তে জেলে ঠাই হলো বরের

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

কঠোর গোপনীয়তায় ১৩ বছরের কিশোরী শামীমাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে একদিন আগেই। হাতে মেহেদী। বিয়ে বাড়ির ধুমধাম চলছে। এর মধ্যে প্রশাসনের নোটিশে চক্ষু চড়ক গাছে ওঠে বর ও কনের পরিবারের।

নোটিশ পেয়ে কয়ারগাছি আবাসন প্রকল্পে হাজির হয় নতুন বর নুর আলম, কনের পিতা হারুন অর রশিদ ও বিয়ের কাজী ইমানুল হোসাইন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাম্মি ইসলামের আশার খবরে চাউর হয়ে পড়ে নতুন বর নুর আলমের একাধিক বিয়ের কাহিনী। মাত্র ১৯ বছর বয়সে সে ৩ বিয়ে করেছে বলে ভ্রাম্যমান আদালতের কর্মকর্তারা জানতে পারেন। বিষয়টি সত্য হওয়ায় ও বাল্য বিয়ে করার দায়ে বর নূর আলমকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ‘২০১৭ এর ৮ ধারা মোতাবেক এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া কনের পিতা হারুন অর রশিদ, মেয়ের মামা হায়দার আলী ও বিয়ের কাজী ইমানুল হোসাইনকে কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার কোথাও বাল্যবিয়ে হতে দেওয়া হবে না। এটা অপরাধ।