যবিপ্রবি:

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) স্নাতক তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে। দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের পরীক্ষা অক্টোবর মাসের শেষ দিকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় সশরীরে স্নাতক শ্রেণির পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে যবিপ্রবির স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষা চলছে।

সভায় জানানো হয়, সেশনজট কমানোর লক্ষ্যে ঝুঁকি থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতক শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্ব স্ব বিভাগের শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। যে সকল শিক্ষার্থী আবাসিক হলে উঠতে চান, তাদের আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ও শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট বরাবর আবেদন করতে হবে।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে এসে তাদের নমুনা দিতে হবে। নমুনা নেগেটিভ হওয়া শর্তে ২৮ তারিখ থেকে তারা হলে থাকতে পারবেন। কোনো শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভ হলে তাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় যশোরের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

সভায় আগামী অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য এই দুই বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষায়িত বিভাগ এবং হাসপাতালে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনে জন্য থাকা প্রয়োজন বিধায় ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন এবং নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগে অধ্যয়নরত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাসমূহ ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে পাঁচ বছরের প্রোগ্রাম থাকায় সেখানে পাঁচটি বর্ষের শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাই এ বিভাগে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পঞ্চম ও চতুর্থ বর্ষ এবং অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বাকি তিনটি বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে স্ব স্ব বিভাগ থেকে বিস্তারিত সূচিও ঘোষণা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হলো আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বর্ষের পরীক্ষা শেষ করা।

সভায় যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, অধ্যাপক ড. মো. নাসিম রেজা, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত ও ড. মো. মেহেদী হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here