ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ লাখ টাকা দিতে অপারগতা: মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে রীনা পারভীন(৪০) নামের এক নারী তার নামে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভূগি ওই নারী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রীনা পারভীন বলেন, চলতি বছরের ২০ জুলাই কোটচাঁদপুর উপজেলার নওদা গ্রামের ববিতা বেগম(৩৫) নামে এক নারী গর্ভবতী অবস্থায় নিজ বাড়ির টিউবয়েল পাড়ে পড়ে যায়। এতে ববিতার প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে পৌছানোর আগেই হাসপাতাল চত্বরের আম গাছ তলায় বিশ্রাম নিতে বসলে সেখানে ববিতার কন্যা সন্তান প্রসব করে। কিন্তু তার গর্ভের ফুল না পড়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। ওই অবস্থা দেখে অভিযোগকারীর মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স এর ড্রাইভার মোঃ রকি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক এ্যাম্বুলেন্স মালিক হিংসাবশত এই ঘটনাকে পুজি করে আমার ও আমার ড্রাইভারের নামে কোটচাঁদপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়। এতে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে রোগীর কাছে আসে এবং ডেলিভারী রোগী ববিতাকে ভর্তি করে তার স্বামী আক্তারুজ্জামান আক্কাচকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর রকিব হোসেন এর মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিয়েও ববিতার স্বামী আক্কাসকে দিয়ে আমার নামে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে হাসপাতাল কোয়ার্টার থেকে আমার কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে আমাকে টেনে হেচড়ে থানায় নিয়ে গিয়ে মহিলা হাজতে আটকে রাখে। পরে ২০/০৭/১৯ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হাজতখানা থেকে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম ও ২জন কনস্টেবল আমাকে তিন তলায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন মার পিট করে নাকের মধ্য পানি ঢালে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে জ্ঞান ফিরে দেখি মহিলা পুলিশের পাহারায় আমি কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এরপর আমি দুই মাস জেল হাজতে থাকার পর গত ০৯-০৯-১৯ তারিখে জামিনে মুক্ত হয়।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতনের আগে ওসি মোঃ মাহবুবুল আলম আমার নিকট ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে তোকে ১০/১২টি মামলায় ফাঁসিয়ে দিব।আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাকে শারীবিক নির্যাতন পারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, আমি অভিযোগের ভিক্তিতে রিনা পারভীনকে গ্রেফতার করি । ঘটনার রাতে তার প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় তাকে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তকে কোন নির্যাতন করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩২৬ Time View

৭ লাখ টাকা দিতে অপারগতা: মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে রীনা পারভীন(৪০) নামের এক নারী তার নামে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভূগি ওই নারী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রীনা পারভীন বলেন, চলতি বছরের ২০ জুলাই কোটচাঁদপুর উপজেলার নওদা গ্রামের ববিতা বেগম(৩৫) নামে এক নারী গর্ভবতী অবস্থায় নিজ বাড়ির টিউবয়েল পাড়ে পড়ে যায়। এতে ববিতার প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে পৌছানোর আগেই হাসপাতাল চত্বরের আম গাছ তলায় বিশ্রাম নিতে বসলে সেখানে ববিতার কন্যা সন্তান প্রসব করে। কিন্তু তার গর্ভের ফুল না পড়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। ওই অবস্থা দেখে অভিযোগকারীর মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স এর ড্রাইভার মোঃ রকি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক এ্যাম্বুলেন্স মালিক হিংসাবশত এই ঘটনাকে পুজি করে আমার ও আমার ড্রাইভারের নামে কোটচাঁদপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়। এতে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে রোগীর কাছে আসে এবং ডেলিভারী রোগী ববিতাকে ভর্তি করে তার স্বামী আক্তারুজ্জামান আক্কাচকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর রকিব হোসেন এর মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিয়েও ববিতার স্বামী আক্কাসকে দিয়ে আমার নামে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে হাসপাতাল কোয়ার্টার থেকে আমার কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে আমাকে টেনে হেচড়ে থানায় নিয়ে গিয়ে মহিলা হাজতে আটকে রাখে। পরে ২০/০৭/১৯ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হাজতখানা থেকে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম ও ২জন কনস্টেবল আমাকে তিন তলায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন মার পিট করে নাকের মধ্য পানি ঢালে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে জ্ঞান ফিরে দেখি মহিলা পুলিশের পাহারায় আমি কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এরপর আমি দুই মাস জেল হাজতে থাকার পর গত ০৯-০৯-১৯ তারিখে জামিনে মুক্ত হয়।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতনের আগে ওসি মোঃ মাহবুবুল আলম আমার নিকট ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে তোকে ১০/১২টি মামলায় ফাঁসিয়ে দিব।আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাকে শারীবিক নির্যাতন পারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, আমি অভিযোগের ভিক্তিতে রিনা পারভীনকে গ্রেফতার করি । ঘটনার রাতে তার প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় তাকে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তকে কোন নির্যাতন করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।