সবুজদেম ডেক্স: পদ্মা সেতুতে বসেছে আরেকটি স্প্যান। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ষষ্ঠ স্প্যান বসানো হয়েছে। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যর এই স্প্যান ভাসমান ক্রেন দিয়ে বসানো হয়। এই স্প্যান বসানোর ফলে পদ্মা সেতুর ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্য একসঙ্গে দৃশ্যমান হয়েছে।

ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর পরে দৃশ্যমান পদ্মাসেতু। মাওয়া ঘাট এলাকা, ২৩ জানুয়ারি। ছবি: কমল জোহা খান

সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ষষ্ঠ স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে বসানো হয়েছে। এই ছয়টি স্প্যান মিলে একসঙ্গে দৃশ্যমান হয়েছে ৯০০ মিটার। তাঁরা জানান, এর আগে সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর একটি স্প্যান বসানো হয়। এটি আলাদাভাবে ১৫০ মিটার দীর্ঘ।ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর পরে দৃশ্যমান পদ্মাসেতু। মাওয়া ঘাট এলাকা, ২৩ জানুয়ারি। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্তে আরেকটি স্প্যান স্থাপনের কাজ চলছে। ওই স্প্যান ৩৬ ও ৩৫ পিলার দুটিতে বসানো হবে। এতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কিলোমিটারে রূপ নেবে পদ্মা সেতু।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। সবশেষ ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের এটিই শেষ স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

পদ্মা সেতুর ষষ্ঠ স্প্যান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাওয়া থেকে জাজিরার দিকে রওনা হয় ক্রেনটি। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর ষষ্ঠ স্প্যান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাওয়া থেকে জাজিরার দিকে রওনা হয় ক্রেনটি। দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২। প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। ৪২টি খুঁটির ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। এর মধ্যে ছয়টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে সমুদ্রপথে জাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে। ফিটিং করা হয় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। তবে কাদামাটির পরই শক্ত মাটি না পাওয়ায় পদ্মা সেতুর ১৪টি পিলারের মধ্যে একটি করে পাইলের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here