নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে খুলনার শিল্পাঞ্চল। বকেয়া মজুরি, মজুরি কমিশন, গ্রাইচুইটি, পিএফ এরর টাকা প্রদান ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ৯ দফা দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ।
সোমবার (০৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকরা খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম ও ইস্টার্ন মিলের শ্রমিকরা অংশ নেয়। শ্রমিকদের বিক্ষোভে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা শিল্পাঞ্চল।

মিছিল পূর্বক সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি সরদার মোতাহার উদ্দিন, শ্রমিক নেতা সেলিম আকন, কাওসার আলী মৃধা, মো. মুরাদ হোসেন, মো. সোহরাব হোসেন, হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর রোয়েদাদসহ উল্লেখিত দাবি ও সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পি,এফ, গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনঃবহাল, বরখাস্ত শ্রমিক, কর্মচারীদের শ্রম আদালত ও শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিয়োগকৃত আইনজীবী মামলা না চালানোর মতামত দেয়া সত্ত্বেও বিজেএমসি উচ্চতর আদালতে আপিল করার ফলে মিলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বি,এম,আর,ই করাসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের জন্য তাদের এ আন্দোলন। আমাদের এসব দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন কর্মসূচির একটি দাবিনামা বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের নেতারা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম অধিদপ্তর মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার (০২ মার্চ) মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, অবসর শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল বকেয়া প্রদান, নিয়মিত সাপ্তাহিক মজুরি, বেতন প্রদানসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ৭ দিনের আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ নন সিবিএ নেতারা।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল- ৪ মার্চ রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, ৮ মার্চ সারাদেশের পাটকলে শ্রমিক সমাবেশ, ১০ মার্চ হরতাল পালনের সমর্থনে লাল পতাকা মিছিল, ১২ মার্চ ২৪ ঘন্টা ধর্মঘট পালন, ১৯ মার্চ আবারও ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here