ফারুক নোমানীঃ

মানুষের ক্ষমতার পরিধি কতটুকু? তা খুবই সামান্য। মানুষের বিত্তের পরিমাণইবা কত? একেবারেই অল্প। তার পদ আর পদবীর ওজনইবা কেমন? তাও তুচ্ছ। কিন্তু এই একটুখানি ক্ষমতা পেয়েই মানুষ ভুলে যায় তার আসল পরিচয়। তার মনুষ্যত্ববোধ। কোনভাবে সমাজে একটু ক্ষমতা পেলেই তার দাপটে থাকে পুরো অঞ্চল সন্ত্রস্ত। সামান্য একটু অর্থের মালিক হয়েই মানুষ শুরু করে কতরকমের বড়াই, অহংকার। তুচ্ছ পদ ও পদবীর ভারে নিজেকে সে মাটির তৈরি আদমসন্তান ভাবতে ভুলে যায় একেবারেই। নিজেকে মনে করে অনেক বড় কিছু। এই কয়েকটি কারণেই মানুষ সাধারণত অন্যের প্রতি যুলুম করে। অত্যাচারের মতো ভয়াবহ মহাপাপে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। অথচ তার একটুও বিবেকে বাধে না যে, কত জঘন্যতম কাজটাই না সে করলো। ইসলামে মুসলিমের বিশেষ পরিচয় দেয়া হয়েছে। নবীজী সা. বলেছেন- ‘মুসলিম সেই, যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।’ (বুখারি ১০, আহমদ ৬৫১৫,নাসায়ি ৪৯১০)। তাই কোন মুসলিম কিছুতেই অত্যাচারি হতে পারে না। আর কোন অত্যাচারি কোনভাবেই প্রকৃত মুসলিম বলে নিজেকে দাবী করতে পারে না। অন্যের প্রতি অত্যাচারকে ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আর ধ্বংসাত্মক মহাপাপের ভেতর একেও বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন-‘হে আমার বান্দাগণ, আমি জুলুমকে নিজের ওপর হারাম করেছি, এটাকে তোমাদের জন্যও হারাম ঘোষণা করেছি। অতএব তোমরা একে অন্যের প্রতি জুলুম করো না।’ (সহীহ মুসলিম ২৫৭৭ )

নবীজী সা. বলেছেন-‘ তোমরা অত্যাচার করো না, কেননা অত্যাচার কিয়ামতের দিন ঘোর অন্ধকারে আবির্ভূত হবে।’ (সহীহ বুখারী ২৪৪৭, সহীহ মুসলিম ২৫৭৮)

দয়াময় আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন অসংখ্য নিয়ামত। তিনি আদেশ করেছেন মানুষ যেন একে অন্যের সাথে সহমর্মিতার আচরণ করে। জুলুম অত্যাচার থেকে নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত রাখে। তারপরও মানুষ জুলুম করে। অত্যাচার নির্যাতনের বিভৎস দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তাই আল্লাহ এ বিষয়ে বলেছেন-‘যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছো তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নিয়ামত গননা করো তবে তা গুনে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ খুবই জালেম ও অত্যধিক অকৃতজ্ঞ।’ (সূরা ইবরাহীম ৩৪)

অন্য জায়গায় বলেছেন-‘নিশ্চয় সে বড়ই জালেম-অজ্ঞ।’ (আহযাব ৭২)

জুলুমের ভয়াবহ শাস্তির বিবরণ দিয়েছেন দয়াময় আল্লাহ কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন জায়গায়। নবীজী সা.ও হাদীসে করেছেন অনেক সতর্ক বাণী।

১. জালেম দুনিয়া আখেরাতে কোথাও সফল হবে না:
মানুষ যে সম্পদ বা ক্ষমতার জন্য অন্যের প্রতি অত্যাচার করে, নির্বিচারে জুলুমের স্ট্রীম রোলার চালায় নিরীহ নিরাপরাধ মানুষের ওপর। হয়তো এই নৃসংশ জুলুম চালিয়ে তার উদ্দেশ্য সে হাসিল করলো, এতে কি সে সফলতা পাবে? দয়াময় আল্লাহ সেকথাই বলেছেন-‘জালেমরা সফলকাম হবে না।’ (সূরা আনআম ২১, ১৩৫, সূরা ইউসুফ ২৩, সূরা কসাস ৩৭)

আপত দৃষ্টিতে যদিও মনে হয় যে, তারা তো বেশ ভালো আছে। মানুষ তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে থাকে। অঢেল বিত্তবৈভবের মালিকও যদি হয়, তবুও তারা দুনিয়াতে ব্যর্থ। আর আখেরাতে তো তাদের জন্য চূড়ান্ত ব্যর্থতা অপেক্ষা করছে।

২. তারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত:
অত্যাচারি জালেমের কাছে তার জুলুম কোন পাপের কাজ বলে মনে হয় না। তারা অনুধাবন করতে পারে না যে তারা কতটা ভয়াবহ অপরাধে জড়িত। সামান্য একটুখানি স্বার্থ-লোভ তাদেরকে চরমভাবে প্ররোচিত করে জুলুমের পথে হাঁটতে। তাই তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন-‘নিশ্চয় আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।’(সূরা আনআম ১৪৪, কসাস ৫০, আহকাফ ১০, বাকারা ২৫৮, আলে ইমরান ৮৬. তওবা ১৯, ১০৯. সফ ৭, জুমআ ৫) অর্থাৎ তারা চিরদিন বিপথগামী হয়েই থাকবে। সঠিক পথের পথিক হবার সৌভাগ্য তাদের জুটবে না।

৩. দুনিয়ায় নগদ শাস্তি:
কিছু পাপ এমন আছে যার শাস্তি আল্লাহ দুনিয়াতে দেন না, আখেরাতেই কেবল দেন। আর কিছু পাপ এমন আছে যে, তার শাস্তি দুনিয়াতেও তিনি দিয়ে দেন। আর আখেরাতের অনন্তকালের শাস্তি তো আছেই। জালেমদের জাগতিক শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-‘আর জালেমদের জন্য এছাড়াও আরো অনেক শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশেই জানে না। ’ (সূরা তুর ৪৭)

অত্যাচারিদেরকে আল্লাহ নানাভাবে দুনিয়াতে শাস্তি দেন। পারিবারিক অশান্তি। দাম্পত্যজীবনে কলহ। পরিবারে কোন জটিল রোগ-ব্যাধি। স্ত্রী ও সন্তান অবাধ্য হওয়া এসবগুলোও তাদের জাগতিক শাস্তির অন্তর্ভুক্ত।

৪. জালেমদেরকে আল্লাহ ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না:
অত্যাচারিদেরকে নিয়ে মানুষকে অনেক সময় বলতে শোনা যায়, এই বর্বর অত্যাচার কি আল্লাহ দেখছেন না? এরপরও কেন তিনি তাদেরকে শাস্তি দিচ্ছেন না? কেন তারা এখনো সমাজের ত্রাস হয়ে ঘুরছে? আল্লাহর গজব কি এদের চোখে দেখে না? মনে রাখতে হবে, অত্যাচারিকে আল্লাহ আরো বেশি পাপের সুযোগ দেন, যেন তারা ভয়াবহ শাস্তিতে জ¦লতে থাকে। আল্লাহ সাথে সাথে শাস্তি না দিলে এটা মনে করার সুযোগ নেই যে, আল্লাহ হয়তো কখনো কিছুই বলবেন না। আর ইতিহাস তো বলে জালেমদেরকে আল্লাহ ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না। এ সম্পর্কেই আল্লাহ বলেছেন-‘জালেমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহকে কখনো বেখবর মনে করো না। তাদেরকে ঐদিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হবে।’ (সূরা ইবরাহীম: ৪২)

৫. জুলুম ধ্বংসের কারণ:
জুলুম ধ্বংসের কারণ। জুলুমের কারণে অতীতে আল্লাহ বহুজনপদকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন। জুলুম ব্যক্তিগত হোক বা হোক জাতীয় পর্যায়ে তা অবশ্যই ধ্বংস ডেকে আনে। ফেরাউন নমরুদ হামান কারুনের ইতিহাস সে কথাই বলে। আর রব্বুল আলামিন এ বিষয়ে বলেন-‘এসব জনপদ আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা জালেম হয়ে গিয়েছিলো এবং আমি তাদের ধ্বংসের জন্য একটি প্রতিশ্রুত সময় নির্দিষ্ট করেছিলাম।’ (সূরা কাহফ : ৫৯)

৬. কিয়ামতদিবসে জালেমদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত:
আল্লাহ বলেন-‘সেদিন জালেমদের ওজর আপত্তি কোন উপকারে আসবে না, তাদের জন্য থাকবে অভিশাপ এবং তাদের জন্য থাকবে নিকৃষ্ট আবাস।’ (সূরা মুমিন: ৫২) অন্য আয়াতে তিনি আরো স্পষ্ট করে বলেছেন-

‘শুনে রাখো, জালেমদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত রয়েছে।’ (সূরা হুদ: ১৮, আরাফ: ৪৪) যাকে আল্লাহ নিজে অভিসম্পাত করবেন, তার পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা অনুমানের সাধ্য আছে কার!

৭. জালেমদের কোন আপত্তি আল্লাহ শুনবেন না:
অত্যাচারিরা দুনিয়াতে দম্ভভরে চললেও আল্লাহর কাছে তারা নিকৃষ্টতম পাপী। কুখ্যাত অপরাধী হয়ে উঠবে তারা। সেদিন মুক্তির জন্য তারা আল্লাহর কাছে নানা অজুহাত পেশ করবে। কিন্তু আল্লাহ বলেন- ‘সেদিন জালেমদের ওজর আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তওবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগও তাদের দেয়া হবে না।’ (সূরা রোম: ৫৭)

৮. জালেমদের জন্য কোন বন্ধু, সাহায্যকারী ও সুপারিশকারী থাকবে না:
পৃথিবীতে কেউ বিপদে পড়লে অন্যরা এগিয়ে আসে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় অকৃত্তিমভাবে। অথবা কেউ কোন ভুল করলেও মানুষ তার জন্য সুপারিশ করে, যেন তাকে এবারের মতো ক্ষমা করে দেয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর আল্লাহর আদালতে যখন জালেমদের বিচার হবে, তখন কেউই এগিয়ে আসবে না তাদের জন্য। কোন উপকারী বন্ধুও তারা এই দুর্দিনে পাবে না। পাবে না কোন সুপারিশকারীকেও। সেকথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন মহান আল্লাহ- ‘জালেমদের জন্য কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।’ (সূরা মুমিন: ১৮) অন্যত্র বলেন-‘জালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।’ (সূরা আলে ইমরান: ১৯২, শূরা :৮)

৯. জালেমরা কিয়ামতের দিন খুবই আফসোস করবে:
অত্যাচারিকে শয়তান ভুলিয়ে দেয় তাদের পরিণামের কথা। মৃত্যুর পর তাদের জন্য যে জাহান্নাম অপেক্ষা করছে তারা তা একেবারেই মনে রাখে না। তাই জুলুমের মতো ভয়নক মহাপাপও তাদের হৃদয়কে প্রকম্পিত করে না। কিন্তু আল্লাহর সামনে যখন তারা দাঁড়াবে, ঠিকই আফসোস করে বলবে, আমি যদি রাসুলের দেখানো পথে চলতাম। আল্লাহ বলেন-‘জালেম সেদিন আপন হস্তদয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রাসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম।’ (সূরা ফুরকান: ২৭)

১০. তাদের প্রতিদান জাহান্নাম :
অত্যাচারির ভয়ে মানুষ দুনিয়াতে ভীকসন্ত্রস্ত থেকেছে। তারা নিজেদের নেয্য পাওনার দাবীও করতে পারেনি তাদের নির্যাতনের ভয়ে। কত মানুষের কত স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে জালেম। তাই আল্লাহ তাদের জন্য রেখেছেন জাহান্নামের শাস্তি। তারা সেখানেই তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। কুরআনে আল্লাহ বলেন-
‘আর আমি জালেমদের বলবো তোমরা জাহান্নামের যে শাস্তিকে মিথ্যা বলতে তা আস্বাদান করো।’ (সূরা সাবা: ৪২)

১১. জালেমের সকল আমল মাজলুমকে দিয়ে দেয়া হবে:
রাসূলুল্লাহ সা. একবার সাহাবীদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো, নিঃস্ব কে? তাঁরা বললেন, আমরা তো নিঃস্ব বলতে তাকেই বুঝি, যার কোনো ধন-সম্পদ নেই। তখন রাসূলুল্লাহ সা. বললেন-‘ না, নিঃস্ব সে নয়, প্রকৃতপক্ষে নিঃস্ব হচ্ছে সে, যে কিয়ামতের দিন অনেক নামায- রোযা-যাকাতের নেকী নিয়ে আসবে, কিন্তু দুনিয়াতে সে একে গালি দিয়েছে, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর মাল জোর করে দখল করেছে, ওর রক্ত প্রবাহিত করেছে অর্থাৎ তাকে হত্যা করেছে অথবা আহত করেছে, তাই সকল মাজলুম তার সেসব জুলুমের বদলা নিতে আসবে। আল্লাহ তাআলা তখন জুলুমের বদলা হিসেবে তার নেকীগুলো মাজলুমদের দিয়ে দিবেন। একপর্যায়ে তার সকল নেকী শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জুলুমের বদলা নেওয়া এখনো শেষ হবে না। তখন মাজলুমের গোনাহগুলো চাপিয়ে দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহীহ মুসলিম ২৫৮১)

তাই মানুষকে নির্যাতন করে যে আমল করা হবে তা নির্যাতিত মানুষের মাঝেই আল্লাহ ভাগ করে দিবেন। আর নির্যাতনকারী জালেমের কোন আমলই যখন থাকবে না, তখন মাজলুমের গোনাহগুলো জালেমের কাঁধে চাপিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। কত বড় দুঃসংবাদ এটা জালেমদের জন্য।

১২. মাজলুমের বদদুআ কখনোই ব্যর্থ হয় না
অত্যাচারি ভাবে যাকে জুলুম করছি সে তো দুর্বল। সে আমার কোন ক্ষতিই করতে পারবে না। মাজলুম নিরীহ মানুষটির প্রতিবাদের কোন ক্ষমতা না থাকলেও তার নির্যাতনের আহাজারি আল্লাহর আরশে পৌঁছে যায়। তার চোখের পানির একেকটি বিন্দু আল্লাহর আরশকে কাঁপিয়ে দেয়। সে যে দুআই তখন করুক না কেন তা অবশ্যই কবুল হবে। তাই নবীজী সা. মাজলুমের বদদুআ থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. বলেন, নবীজী সা. যখন মুয়াজ রা.কে ইয়ামানে পাঠালেন তখন বলেছিলেন-‘তুমি মাজলুমের বদদুআ থেকে বেঁচে থাকবে, কারণ তার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে কোন প্রতিবন্ধতা থাকে না।’ (সহীহ মুসলিম ২৪৪৮)

পাঠক,
একটু ভাবুন কত ভয়াবহ জুলুমের পরিণাম। কত ভয়ংকর শাস্তি অপেক্ষা করছে জালেমের জন্য। এরপরও আমরা মানুষকে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকতে পারি না। এটা বড়ই খারাপ। আমাদের যার যতটুকু সাধ্য আছে তার ভেতরে থেকে অন্যকে কষ্ট দিতে পছন্দ করি। অথবা কাউকে কষ্ট দিলে মনে কখনো অনুতাপ সৃষ্টি হয় না। কিন্তু কাউকে কোনভাবে অত্যাচার করে নিজে জালেম হয়ে আল্লাহর দরবারে যখন উঠবো, তখনকার অবস্থাটা কেমন হবে একটুও কি চিন্তা করেছি দেখেছি কখনো? অত্যাচারিদের জন্য যে ভয়ানক শাস্তি অপেক্ষা করছে তা কি সহ্য করার ক্ষমতা আছে আমাদের? তাই আসুন, আজই সংকল্প করি, যতদিন বেঁচে থাকবো কাউকে কষ্ট দিবো না। কারো প্রতি জুলুম করবো না। অন্তত কারো কষ্টের কারণ হবো না কখনো।

লেখক: মুহাদ্দিস-বলিদাপাড়া মাদরাসা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
ইমাম- বায়তুল আমান জামে মসজিদ, মেইন বাসস্ট্যান্ড কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here